মা আসছেন গজে, যাবেন নৌকায়, শাস্ত্রমতে এর প্রভাব কি

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গাপুজোয় আর হাতে মাত্র কয়েকটি দিন। ইতিমধ্যেই এই দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙ্গালীদের মধ্যে। পুজোর কেনাকাটা করার পাশাপাশি সেজে উঠছে পাড়ায় পাড়ায় মন্ডপ। এই কয়েকটা দিন যেন ধক সইছে না আমজনতার। মুখে রয়েছেন কখন তারা ভেসে উঠবেন বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসবে।

দুর্গাপুজোর আগে প্রত্যেকের মধ্যেই আলাদা কৌতূহল থাকে, দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন নিয়ে। অর্থাৎ দেবী দুর্গা কিসে চড়ে আসছেন এবং কিসে চড়ে যাবেন। এই বছর দেবী দুর্গার আগমন হচ্ছে গজে এবং গমন হবে নৌকায়। দেবী দুর্গার এই আগমন ও গমনের উপর নির্ভর করে ফলাফল, কেমন কাটবে সারা বছর। শাস্ত্রমতে এমনটাই বলা হয়ে থাকে।

শাস্ত্রে বলা হয়, সিংহবাহিনী দেবী দুর্গার আগমন অথবা গমন হয়ে থাকে গজ বা হাতি, ঘোটক বা ঘোড়া নৌকা বা দোলায়। দেবী দুর্গার যে সকল বাহনে এই আগমন ও গমন হয় তার উপর নির্ভর করে সারা বছর কিভাবে কাটবে। শাস্ত্রে এই সকল আগমন ও গমনের বিভিন্ন প্রভাবের উল্লেখ রয়েছে।

গজ বা হাতি : ‘গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা’। শাস্ত্র অনুযায়ী দেবী দুর্গার গজ বা হাতিতে আগমন বা গমন হলে তা হল শুভ লক্ষণ। পৃথিবী শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে।

ঘোটক বা ঘোড়া : ‘ছত্রভংস্তুরঙ্গমে’। শাস্ত্র অনুযায়ী দেবী দুর্গার ঘোড়ায় আগমন বা গমন হলে চারিদিক ছত্রভঙ্গ হয়। অশুভ ফলের নির্দেশ দেয়।

নৌকা : ‘নৌকায়াং শস্যবৃদ্ধি জলবৃদ্ধিশ্চ’। নৌকায় আগমন অথবা গমন শাস্ত্র অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের লক্ষণ। দেবী দুর্গার নৌকায় আগমন অথবা গমন হলে শুভ লক্ষণ হিসাবেই ধরা হয়ে থাকে।

দোলা বা পালকি : ‘দোলায়াং মড়কং ভবেৎ’। দোলা বা পালকিতে দেবী দুর্গার আগমন অথবা গমন হলে তা অশুভ লক্ষণ। শাস্ত্র অনুযায়ী এর ফলে পৃথিবীতে মহামারী দেখা দেয়, মানুষের মৃত্যু বাড়ে।

এই বছর দেবী দুর্গার আগমন হচ্ছে গজ অর্থাৎ হাতিতে। অন্যদিকে দেবী দুর্গার গমন নৌকায়। এই দুই শাস্ত্র অনুযায়ী শুভ লক্ষণ। দেবী দুর্গার আগমনী এবার সুখ ও সমৃদ্ধি ফিরবে এবং গমনে পৃথিবী শস্য শ্যামলা হয়ে উঠবে।