দ্বারকার জলে ব্রিজ ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন কমকরে ৫০ টি গ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিম্নচাপের ফলে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয় দিন ছয়েক ধরে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল বীরভূমে। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির চাপও এসে পরে বীরভূমের উপর বয়ে যাওয়া নদীগুলির উপর। স্বভাবতই তরতরিয়ে জল বাড়তে থাকে নদীগুলিতে। বীরভূমের নদীগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি জল বাড়ে দ্বারকা এবং ব্রাহ্মণী নদীতে। ইতিমধ্যেই দ্বারকা নদীর পাশে থাকা মহঃবাজারের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত, অন্যদিকে ব্রাহ্মণী নদীর বাঁধ ভেঙেও নলহাটি ব্লকের বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। তারি মাঝে দ্বারকা নদীর উপর থাকা একটি ভাসা ব্রীজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কমকরে ৫০টি গ্রাম।

আঙ্গারগড়িয়া থেকে সোঁতশাল যাওয়ার রাস্তায় পুরাতন গ্রামের কাছে দ্বারকা নদীর উপর রয়েছে একটি ভাসা ব্রিজ। যে ব্রিজের উপর নির্ভর করে এপার-ওপারের কমকরে ৫০টি গ্রাম নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে থাকে। কিন্তু গতকাল নদীতে বিপুল পরিমাণে জল বাড়ায় বৈকাল নাগাদ সেই ভাসা ব্রিজ ভেঙে পড়ে। নদীর এপারের সাথে ওপারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, যানবাহন চলাচল বন্ধ। এলাকার পাথর খাদানের শ্রমিকদের এবং অন্যান্যদের বর্তমানে কমকরে ২০ কিলোমিটার ঘুর পথে যাতায়াত করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “এই ভাসা ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা প্রচন্ড অসুবিধার মধ্যে পড়েছি। এখন কাজে যাওয়া থেকে শুরু করে বাজারঘাট যাওয়ার জন্য কমকরে ২০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।”

ওই এলাকার পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান আরজিনা বিবি জানান, “নদীর জল কমে গেলে আমরা অস্থায়ীভাবে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এই ব্রিজের পুনঃস্থাপনের জন্য জানাবো।”