রেলওয়ে স্টেশনে ফাঁকাই শুটিং করা যায় না, দিতে হয় এই পরিমাণ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল ভারতীয়দের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। রেলবোর্ড মূলত যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়ে রোজগার করে থাকেন এমনটাই অনেকের ধারণা। তবে এর বাইরে ও সিনেমা অথবা সিরিয়াল বা সিরিজের জন্য শুটিং থেকেও বিপুল টাকার রোজগার করে থাকে ভারতীয় রেল। কারণ রেলওয়ে স্টেশনে যে সকল শুটিং করা হয়ে থাকে সেগুলির জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে হয় নির্মাতা সংস্থাকে।

কোন স্টেশনে শুটিং হবে এবং সেই সকল স্টেশনে শুটিং করার জন্য কত খরচ বহন করতে হবে তার জন্য তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এই সকল ক্যাটাগরির ভিত্তিতে শিয়ালদহ এবং কলকাতা রেলস্টেশন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে জনপ্রিয়তার শিখরে। এরপরেই রয়েছে হাওড়া এবং আসানসোল রেলওয়ে স্টেশন। পূর্ব রেল ২০২০-২১ অর্থবর্ষে শ্যুটিং থেকে ৭ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৮ লক্ষ টাকা আয় করে ফেলেছে।

X, Y এবং Z ক্যাটাগরির ভিত্তিতে X ক্যাটাগরির রেলওয়ে স্টেশনের জন্য লাইসেন্স ফি বাবদ লাগে ২ লক্ষ টাকা। Y এবং Z ক্যাটাগরি রেলওয়ে স্টেশনগুলির জন্য লাইসেন্স ফি বাবদ যথাক্রমে দেড় ও এক লক্ষ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও সাধারণ রোলিং স্টক নিতে হলে তার জন্য ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয় এবং রোলিং স্টকের মধ্যে স্পেশালাইজেশনের খরচ হয় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা।

মূলত বহু সিনেমা অথবা সিরিয়ালে ভিড় স্টেশন দেখানো হয় সেক্ষেত্রে এই টাকা দিতে হয়। আবার রোলিং স্টক এবং ষ্টেশন একসঙ্গে নেওয়ার ক্ষেত্রে কম্বো প্যাক হিসেবে নিতে হলে খরচ করতে হয় ১৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে শুটিংয়ের সময় কোনরকম বিপত্তি করলে তার জন্য শুটিংয়ে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের বীমা করা থাকে।

রোলিং স্টকের বিমার অংক ১০ কোটি টাকা। স্টেশনের জন্য ২ কোটি টাকা। শুটিংয়ে যারা অংশগ্রহণ করেন সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য এক লক্ষ টাকা করে বীমা করা থাকে।