কে এই পুলিশ অফিসার? যার জন্য বদলে গেল হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের মোড়

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার সাতসকালে দেশবাসীর ঘুম ভাঙ্গে হায়দ্রাবাদের ৪ ধর্ষককে এনকাউন্টার করে খতম করার খবরে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের তাজা হয়ে ওঠে ওয়ারঙ্গলের স্মৃতি। কারণ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন সেই পুলিশকর্তা সাইবারাবাদের বর্তমান পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার।

অভিযুক্ত ওই চারজনকে শুক্রবার ভোররাতে এনকাউন্টার করে মেরে ফেলার পর এই এনকাউন্টারের মাস্টার পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার বর্তমানে দেশবাসীর চোখের মনি হয়ে উঠেছেন। নির্যাতিতার পরিবার দাবি করেছেন, শান্তি পেল তাদের মেয়ে। অন্যান্য নির্যাতিতাদের পরিবারের সদস্যদেরও দাবি এমন। চারিদিকে জয়ধ্বনি উঠতে থাকে ‘হায়দ্রাবাদ পুলিশ জিন্দাবাদ’, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও হায়দ্রাবাদ পুলিশকে স্বাগত জানানো হয়। আসলে এই পুলিশ অফিসার কে?

মনে পড়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের কথা। সে সময় ওয়ারঙ্গল পুলিশের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার। কাকাতিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এক কলেজ ছাত্রীকে অ্যাসিড ছোঁড়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রীনিবাস, হরিকৃষ্ণ ও সঞ্জয়ের ঠিক এভাবেই পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল। সেবার ছাত্রীর উপর হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ওয়ারঙ্গল থেকে শুরু করে গোটা অন্ধ্রপ্রদেশ। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ার ঠিক দিন কয়েকের মধ্যেই শোনা গিয়েছিল সেই এনকাউন্টারের কথা।

১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সাজ্জানার বরাবরই একজন কড়া অফিসার বলে সুপরিচিত। ২৩ বছর বয়সে চাকরি পাওয়ার পর অনেক ঝুঁকি পূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এই পুলিশ কর্তা একসময় রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তরের ইন্সপেক্টর জেনারেল পদেও ছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে তিনি অজস্র নকশাল ও মাওবাদী নেতাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এখানেও ছিল এক এনকাউন্টারের গল্প, নকশাল নেতা নঈমুদ্দিন বা নঈমের এনকাউন্টার।

আর আবারও এই পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে নতুন করে হায়দ্রাবাদ কাণ্ডে ৪ অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে খতম করার ঘটনায় হায়দ্রাবাদ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা দেশ।