ম্যাচ হারলেও অনবদ্য ইরফান ও গোনির জুটি, মুগ্ধ ক্রিকেট দুনিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন : ছত্তিশগড়ের রায়পুরে প্রাক্তণ ক্রিকেট তারকাদের নিয়ে চলছে রোড সেফটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজ। যে সিরিজে অংশগ্রহণ করেছে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তণ ক্রিকেটারদের নিয়ে ৬টি দল। আর এই সিরিজের ৯ নম্বর ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় ইন্ডিয়া লেজেন্ড এবং ইংল্যান্ড লেজেন্ড। যে খেলায় ভারতকে ইংল্যান্ড লেজেন্ডের কাছে ৬ রানে পরাজয় স্বীকার করতে হয়। তবে শেষের দিকে ইরফান পাঠান এবং মনপ্রীত গোনি যে খেলা দেখালেন তা মুগ্ধ করলো ক্রিকেট দুনিয়াকে।

এদিনের এই খেলায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড লেজেন্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৯ সংগ্রহ করে ৭ উইকেটের বিনিময়ে। ইংল্যান্ড লেজেন্ডের অধিনায়ক কেভিন পিটারসন তার পুরাতন পারফরম্যান্স নিয়েই মাঠে নামেন। তিনি ৩৭ বলে ৭৫ রান করে দলকে জেতার পর্যায়ে পৌঁছে দেন। ইংল্যান্ড লেজেন্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ইউসুফ পাঠান ৩টি, ইরফান পাঠান ২টি এবং মুনাফ প্যাটেল ২টি উইকেট নেন।

১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় লেজেন্ড প্রথম থেকেই উইকেট খুইয়ে চাপের মুখে পড়ে যায়। এক সময় ভারতীয় লেজেন্ড দল ১১৯ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলে। তবে এরপর থেকে আর উইকেট খোয়াতে দেখা যায়নি ভারতীয় লেজেন্ড দলকে। তবে ভারতীয় লেজেন্ড দলের সামনে থাকা বিশাল রানের পাহাড় টপকাতে সে সময় অনেক দেরি হয়ে যায়। কিন্তু দেরি হলেও শেষ চেষ্টা করতে ছাড়েনি ইরফান পাঠান এবং মনপ্রীত গোনির জুটি।

দুজনে একের পর এক বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে একেবারে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। তবে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছালেও শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ভারতীয় লেজেন্ড দলকে মাত্র ৬ রানে হার স্বীকার করে নিতে হয়। যে জায়গায় প্রথমদিকে মনে হয়েছিল ভারতীয় লেজেন্ড দল হয়তো অসহায় হার স্বীকার করবে।

[aaroporuntag]
এই ম্যাচে ইরফান পাঠান নিজের বোলিংয়ের সময় ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৩৪ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার এই ব্যক্তিগত রানে জায়গা পায় ৪টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারি। অন্যদিকে একই রকম পারফরম্যান্স দেখা যায় মনপ্রীত গোনির ব্যাট থেকেও। মনপ্রীত গোনি ১৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে দেখা যায় ১টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি। যেগুলির মধ্যে আবার বেশ কয়েকটি ছিল আকাশছোঁয়া। এই ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন ইরফান পাঠান।