নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা হোক অথবা বিধানসভা, উপনির্বাচন বা নির্বাচন, বিরোধীরা অনেক ক্ষেত্রেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন, ওঠে নানান প্রশ্ন। যেমনটা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের পর। এমনকি এই অভিযোগে বারবার বিরোধীরা এই ইভিএম নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থও হয়। এত এত বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে সাধারণ ভোটদাতাদের মধ্যেও ওঠে নানান প্রশ্ন। তাহলে কি!
সত্যিই কি ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব!
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ইভিএমের কারচুপি নিয়ে সর্বভারতীয় একটি সংবাদপত্রে সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। রণবীর সিং নামে ওই ইলেক্টোরাল অফিসার জানিয়েছেন, “ইভিএম একেবারে স্বচ্ছ ব্যবস্থা, এখানে কারচুপির কোন সুযোগ থাকে না। ইভিএম ম্যানিপুলেশন অথবা হ্যাকিং করাও সম্ভব নয়। কারণ ইভিএমের সাথে বহির্বিশ্বের কোনরকম যোগাযোগ থাকে না। এমনকি ইভিএমের সাথে ব্লুটুথ, ইন্টারনেট অথবা ওয়াইফাই-এর মত কোন সংযোগ থাকে না। যার অর্থ কোনোভাবেই বাইরে থেকে ইভিএমকে প্রভাবিত করা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “ইভিএমের মধ্যে থাকে ওয়ান টাইম প্রোগ্রামেবেল চিপ। ইসিআইএল ও ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ইভিএম তৈরি করে থাকে। শুধু তাই নয় ইভিএম তৈরির সময় দেশের সর্বোচ্চ প্রটোকোল সুরক্ষা থাকে, যাতে করে গোলমাল পাকানোর কোন সুযোগই থাকে না।”
এছাড়াও ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর ইভিএমকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে স্ট্রং রুমে রাখা হয়। সেই নিরাপত্তা বলয় লংঘন করেও কেউ যদি ইভিএমে কারচুপি করতে চাই, তখন ইভিএম তার প্রযুক্তি অনুযায়ী খুব জোরে কাঁপতে থাকে। আর তারপরেই ইভিএম এর সুইচ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ওই সিনিয়র ইলেক্টোরাল অফিসার রণবীর সিং। তাই তিনি দাবি করেছেন কোনভাবেই ইভিএম হ্যাকিং অথবা কারচুপি করা সম্ভব নয়।
যদিও এর পরেও বিরোধীদের ইভিএম বদলানোর প্রসঙ্গ তুলেও কমিশন এবং শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে। বিরোধীদের ইভিএমের জালিয়াতির অভিযোগ রুখতে ভিভিপ্যাটের ব্যবস্থা আসে গত লোকসভা নির্বাচনে। গণনার ক্ষেত্রে কমিশনের নিয়ম অনুসারে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া পাঁচটি বুথের ভিভিপ্যাট গণনার ব্যবস্থাও হয়।