কর্মজীবন নিয়ে হতাশ! রতন টাটার ৫টি বাণী বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশ তথা বিশ্বের যে সকল শিল্পপতি রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রতন টাটা। শিল্পপতি ছাড়াও তিনি দেশে জনদরদী মানুষ হিসাবে পরিচিত। শিল্পপতি হিসাবে একজন সফল ব্যক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি সমাজ গড়ার কাজেও তিনি নিজেকে সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

১৯৯১-২০১২ এবং ২০১৬-২০১৭ সাল, ২২ বছর তিনি ছিলেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান। দেশ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সফল এই শিল্পপতি রতন টাটাকে অনেকেই নিজেদের আদর্শ বলে মনে করেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ৮৫ বছর বয়সেও তিনি এখনো পর্যন্ত প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার প্রচেষ্টা চালান।

১৯৬২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচারে স্নাতক করে রতন টাটা দেশে ফিরে আসেন। তারপরই তিনি পরিবারের ব্যবসার হাল ধরেন। বয়স ৮৫ বছর হলেও এখনো রতন টাটা মনের দিক থেকে তুর্কি তরুণ।

দেশে যে সকল শিল্পপতি রয়েছেন তাদের মধ্যে রতন টাটার সম্পত্তির পরিমাণ তুলনামূলক কম। ২০২১ সালের একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের ধনীদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ৪৩৩ নম্বরে। এই তথ্য অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এত তলানিতে তার থাকার অনেক কারণ রয়েছে। কারণ তিনি ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তার সংস্থা অনেক সামাজিক কাজে বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে।

এই রতন টাটার ৫টি বাণী হতাশ কর্মজীবনে দিতে পারে নতুন জীবন।

১) লোহা কেউ ধ্বংস করতে পারে না, শুধুমাত্র মরচে ধরেই লোহা নষ্ট হয়। ঠিক একইভাবে কোনও ব্যক্তিকে কেউ ধ্বংস করতে পারে না, শুধু তাঁর মনোভাবই তাঁকে ধ্বংস করতে পারে।

২) কোনো ব্যক্তি কাউকে অনুকরণ করে সাময়িকভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে তিনি কখনও সাফল্য পাবেন না।

৩) আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াতে বিশ্বাসী নই। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটিকে সঠিক বলে প্রমাণ করি।

৪) আপনার দিকে যে পাথর ছোড়া হচ্ছে, তা সংরক্ষণ করে রাখুন এবং তা দিনে মনুমেন্ট তৈরি করুন।

৫) আমি অনেককেই বলি এবং প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিয়ে থাকি। নতুন চিন্তাধারা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কখনই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়, এমনকী কোনও কাজ শেষ করতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করার মধ্যেও কোনও ভুল নেই।