৭০ কিমি দূরে ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বেচে যা পেলেন চাষী! লজ্জায় মাথা হেঁট

অতি ফলনের জেরে এবারের শীতে চাষ করেও বিভিন্ন শাক সব্জির প্রত্যাশিত দাম পাননি এ রাজ্যের কৃষকরা (Farmer)৷ এবার অনেকটা একই ধরনের দুর্দশার সম্মুখীন মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষিরাও (Farmer)৷ মহারাষ্ট্রের কোলাপুরেই এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে৷ জানা গিয়েছে, মোট ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে পেয়েছেন ২ টাকা। আর তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলো তার রশিদ।

জানা গিয়েছে, সোলাপুর জেলার বরশি তালুকার বড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা রাজেন্দ্র তুকারাম চৌহান। ওই কৃষক (Farmer) সম্প্রতি ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বেচতে ৭০ কিলোমিটার দূরের পাইকারি বাজার বা মান্ডিতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ এক টাকা করে বিক্রি করতে হয় তাঁকে৷

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্ত রকমের টাকা কাঁটছাঁট করে ওই কৃষকের (Farmer) প্রাপ্য দাঁড়ায় মাত্র ২ টাকা ৪৯ পয়সা! তাও আবার সেই টাকার জন্য ওই কৃষককে পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়া হয়৷ যেহেতু ব্যাঙ্ক থেকে ৪৯ পয়সা দেওয়া সম্ভব নয়, তাই ওই কৃষক ২ টাকার চেক পান৷ এই ২ টাকা তিনি ১৫ দিন পর ব্যাঙ্ক থেকে চেক ভাঙিয়ে তুলতে পারবেন৷

সোলাপুরের কৃষি বাজারের যে ব্যবসায়ীর কাছে তুকারাম পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন, সেই নাসির দাবি করেন যে তুকারাম যে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন, তা একেবারে নিম্নমানের ছিল। আগে যখন ভালোমানের পেঁয়াজ নিয়ে এসেছিলেন তুকারাম, তখন প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা দাম পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রতি কেজিতে ১৪ টাকা দাম উঠেছিল। কিন্তু নিম্নমানের পেঁয়াজের চাহিদা নেই। তাই দাম পাননি।

তুকারাম দাবি করেন যে, প্রতি কেজি পেঁয়াজের জন্য এক টাকা দেওয়া হয়। কৃষি বাজারে যে ব্যবসায়ী ছিলেন, যাতায়াতের খরচের মতো একাধিক কারণে তিনি ৫০৯.৫ টাকা কেটে নেন। অথচ গত তিন-চার বছরে বীজ, সার, রাসায়নিকের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এবার মাত্র ৫০০ কেজি পেঁয়াজ চাষ করতে ৪০,০০০ টাকা খরচ হয়েছে। সেখানে মাত্র দু’টাকার চেক পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তুকারাম।