Fight master Kashi: সারা মুখে নাট-বল্টু, পিন! একসময়ের টলিউড-বলিউড কাঁপানো অভিনেতা এখন চা বিক্রেতা

The struggle of Bollywood fight master Kashi: ভাবলেই অবাক হবেন গোটা শরীরে তার ফোটানো ১০০ পিন, আর ইতি-উতি উঁকি মারছে পিয়ার্সিং। এমনকি ঘুমনোর সময় তাকে চিৎ হয়ে শুতে হচ্ছে। এছাড়া আর কোনও গতি নেই। পাশ ফিরে কিভাবে ঘুমনো যায় প্রায় ভুলে গিয়েছেন কার্তিক ওরফে কাশী (Fight master Kashi)। কিন্তু অধিকাংশ পিন তার মুখেই ফোটানো হয়েছে। প্রথম তিনি একটা দুটো করে নাকে কানে পিয়ার্সিং করা দিয়ে শুরু করেছিলেন। এরপর থেকেই কাশীর কাছে পিয়ার্সিং হয়ে যায় নেশার মতন। এখন তাঁর মুখ সহ গোটা শরীরে রয়েছে অসংখ্য পিয়ার্সিং ও দুল।

চেনেন এই কাশীকে (Fight master Kashi)? কেনই সে সবার থেকে আলাদা? তিনি আসলে হাবড়া আশুতোষ কলোনির বাসিন্দা, বছর বিয়াল্লিশের কার্তিকচন্দ্র সাহা ওরফে কাশী কিন্তু এলাকায় ‘ভিলেন’ নামেই পরিচিত। কোনো একসময়ে বলিউড-টলিউডের বহু ছবিতে ভিলেন বা খলনায়কের চরিত্র থাকা কাশীকে নায়কের হাতে মার খেতে দেখেছেন দর্শকরা। কিন্তু সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এখন আর কেউ তাকে ডাকেন না। কাশীর বর্তমান সম্বল বলতে হাবড়ার একটি ছোটো চায়ের দোকান।

কাশীর ব্যক্তিগত জীবন আসলে কিরকম? তার ২২ বছর বয়সী ছেলে দেব সাহা উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর চাকরির চেষ্টা করছে। পাশাপাশি কিন্তু বাবার কাছে পুরোদমে চলছে তাঁর ক্যারাটের তালিম। বাবার সৌজন্যে শেখা চলছে নাচও। ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করাই কিন্তু কাশীর (Fight master Kashi) একমাত্র লক্ষ্য।

কাশীর রুপোলি পর্দায় যাত্রা শুরু হয় ১৩ বছর আগে। তবে তা কিন্তু খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কাশী বেশ কিছু ছবি ও সিরিয়ালে কাজ করে এলাকায় খুব পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। সিআইডি, দাদাগিরির পাশাপাশি আশা নামের বাংলা ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এছাড়া ‘মেঘে ঢাকা তারা’ সিরিয়ালেও কাজ করেছেন তিনি। কাশীকে বলিউড নায়িকা জয়াপ্রদার সঙ্গেও একই স্ক্রিনে দেখা গিয়েছে।

তিনি মুম্বই থেকে ঘুরে এসেছেন, এমনকি গিয়েছেন সিকিম ও তামিলনাড়ুতেও। নাচের পাশাপাশি কিন্তু তিনি ফাইট মাস্টার হিসেবেও যথেষ্ট দক্ষ, তার দক্ষতা নজর কেড়েছে পরিচালকের। কিন্তু সেসব থেকে এখন তিনি অনেকটই দূরে। বর্তমানে পেট চালানোর তাগিদে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান চালাচ্ছেন তিনি। কাশী এখন লোকচক্ষুর আড়ালে। তার আর্থিক সামর্থ্য না থাকার কারণেই তিনি আর ফিল্মি দুনিয়া বেশি দূর এগোতে পারেননি। কাশী চায়ের দোকান সামলে নিজের শখের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন স্টান্ট শো ও নাচের অনুষ্ঠান করে থাকেন। করেন দুঃসাহসিক কাজ, মাথায় বুকে ভাঙের টিউবলাইট-কাচের বোতল। ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করাই এখন কাশীর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।