গাড়িতে আগুন, বাইক আরোহীর তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলো শিশু সহ ৪

লাল্টু : রাতের অন্ধকারে একটি হুন্ডাই গাড়ির পিছন ধাওয়া করে এক বাইক আরোহী একটি গাড়িটিকে থামায়। গাড়ি থামিয়ে ওই বাইক আরোহী গাড়িতে থাকা আরোহীদের তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নামতে বলেন। আর ওই হুন্ডাই গাড়িতে থাকা ৪ আরোহী গাড়ি থেকে নামতেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠে গাড়িটি। চোখের নিমেষে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কেবল প্রাণে বাঁচে গাড়ির চালকসহ তিন আরোহী, যাদের মধ্যে এক শিশু।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে বীরভূমের দুবরাজপুর থেকে বক্রেশ্বর যাওয়ার রাস্তায় ঝাঁপড়তলা গ্রামের কাছে। ওই রাস্তায় ওই চার চাকা গাড়িটি যাওয়ার সময় এক বাইক আরোহী গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা দেখতে পান। তারপর তড়িঘড়ি ওই বাইক আরোহী ওই চারচাকা গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে গাড়িটিকে থামান। আর গাড়িচালক কালিচরন বড়ালকে আগুন লাগার কথা জানিয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নামতে বলেন। তারপর গাড়ি থেকে নামতেই দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় গাড়িতে, নিমেষের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। তবে প্রাণে বেঁচে যান গাড়িচালক কালিচরন বড়াল, ১২ বছরের এক শিশু ও এক দম্পতি।

ঘটনার খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং রাতে ওই চারজনকে নিরাপদ আশ্রয় দেয়। তবে কি কারণে গাড়িতে আগুন লেগেছিল তা সম্পর্কে পুলিশ অথবা কেউ কিছু জানাতে পারেনি। তবে স্থানীয়দের অনেকেই গাড়িতে আগুন লাগার পিছনে রাস্তার ওপর ফেলে রাখা খড়, গাছ সহ গমকে মনে করছেন। আর ওই পুড়ে যাওয়া গাড়ির মালিকের পরিচয় জানা গিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। গাড়ির মালিকের নাম হেমন্ত মোদি, তিনি ঝাড়খন্ডে আসনবুনি গ্রামের বাসিন্দা।

তবে যে বাইক আরোহীর বুদ্ধিমত্তায় সেদিন রাতে ওই চার জনের প্রাণ বাঁচালো তার নাম জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয়দের অনেকের বক্তব্য, ওই বাইক আরোহীর বাড়ি সিউড়ি বা তার আশেপাশে।