সমুদ্রের নিচে ছুটবে ট্রেন, ভারতীয় রেলের এই পরিকল্পনা অবাক করা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের উপর প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল হওয়ার কারণে এই মাধ্যম গণপরিবহনের মেরুদন্ড। গণপরিবহনের এই মেরুদন্ডকে প্রতিনিয়ত সাজিয়ে তোলার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রেল বোর্ড। এই সকল পদক্ষেপের মধ্যেই ভারতে চালু হচ্ছে একের পর এক দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেনের।

ইতিমধ্যেই এই দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেনগুলির মধ্যে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্র্যাকে ছুটতে আরম্ভ করেছে। এবার পালা বুলেট ট্রেনের। ভারতে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ অনেক এগিয়ে গিয়েছে এবং খুব তাড়াতাড়ি এই বুলেট ট্রেন ট্র্যাকে ছুটতে আরম্ভ করবে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে এরই মধ্যে আবার ভারতীয় রেল এমন এক পরিকল্পনা গ্রহণ করলো যা অবাক করবে যাত্রীদের।

ভারতেও এবার এই বুলেট ট্রেন সমুদ্রের নিচে ছুটানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমুদ্রের নিচে ৭ কিলোমিটার ট্যানেল তৈরি করার জন্য টেন্ডার ডেকেছে মোদি সরকার। মুম্বাই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডোরের জন্য মহারাষ্ট্রে মোট ২১ কিমি লম্বা রেল ট্যানেল তৈরি করা হবে, যার কিনা ৭ কিমি থাকবে সমুদ্রের নীচে। এই ট্যানেল তৈরি হয়ে যাওয়ার পর নতুন রেকর্ড গড়বে ভারত।

সমুদ্রের নিচে এইভাবে বুলেট ট্রেন ট্র্যাক বা ট্যানেল তৈরি করার পরিকল্পনা ভারতে প্রথম। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল করিডোর বুলেট ট্রেনের জন্য ট্যানেল বোরিং মেশিন এবং নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ২১ কিমি লম্বা ট্যানেল তৈরির জন্য দরপত্র ছেড়েছে। এই ট্যানেল সম্পর্কে আর কি কি জানা যাচ্ছে?

এর সূচনা হবে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে। এখানে তৈরি হবে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন। এখান থেকেই ট্রেন এগিয়ে যাবে থানে এলাকার খাঁড়ির দিকে। ট্রেন আসা-যাওয়ার জন্য দুটি লাইন তৈরি করা হবে। এই ট্যানেল নির্মাণ করার জন্য ১৩.১ মিটার ব্যাসের কাটার হেড সহ TBM ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন শহরে মেট্রোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে TMB, তবে তাদের ব্যাস হয় পাঁচ থেকে ছয় মিটার। এর গভীরতা হবে ২৫ থেকে ৬৫ মিটার পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে গভীরতা হবে শিলফাটার কাছে পারসিক পাহাড়ের নীচে, সেটি হলো ১১৪ মিটার। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ভারতের প্রথম হাইস্পিড গতির রেললাইন তৈরি করছে।