বদলে গেল হাওড়া-পুরি বন্দে ভারতে খাবারের মেনু, নাম শুনলেই জিভে আসবে জল

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) ধাপে ধাপে রাজকীয় ছন্দে হাঁটতে শুরু করেছে। রাজকীয় ছন্দে হাঁটার প্রথম পদক্ষেপ হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রুটে দেশীয় প্রযুক্তির এই ট্রেনটি চলাচল শুরু করে দিয়েছে। বাংলার বুকেও এই মুহূর্তে দুটি বন্দে ভারত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করছে।

বাংলার দুটি বন্দে ভারতের মধ্যে একটি হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এবং অন্যটি হাওড়া থেকে পুরী পর্যন্ত যাতায়াত করছে। সম্প্রতি গত সপ্তাহেই হাওড়া পুরী বন্দে ভারত চালু হয়েছে। এই ট্রেনটি চালু হওয়ার পর থেকেই যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদা নজরে আসছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে আগামী দু সপ্তাহ ট্রেনের সব টিকিট বুক হয়ে গিয়েছে। এবার এই ট্রেনের যাত্রীদের জন্যই সুখবর দিল রেল।

২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে সকাল ৬:১০ মিনিটে ছাড়ে এবং সেটি পুরি পৌঁছায় দুপুর ১২:৩৫ মিনিটে। ফেরার পথে ট্রেনটি পুরি থেকে দুপুর ১:৫০ মিনিটে ছাড়ে এবং হাওড়া এসে পৌঁছায় রাত ৮:৩০ মিনিটে। এই ট্রেনটিতে এসি চেয়ার কারের ভাড়া ১২৬৫ টাকা এবং এক্সিকিউটিভ চেয়ারকারের ভাড়া ২৪২০ টাকা।

এই ট্রেনটিতে যাত্রীদের রাজকীয়ভাবে যাতায়াতের পাশাপাশি খাবারের মেনুতে যোগ করা হয়েছে প্রাতরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজন এবং সন্ধ্যার জন্য মুখরোচক খাবার। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে যে সকল যাত্রীরা যাতায়াত করবেন তাদের জন্য চার ধরনের মেনু থাকছে। এক একদিন এক এক ধরনের মেনু দেওয়া হবে যাত্রীদের পাতে। এছাড়াও যাত্রীদের পছন্দ করার অপশন থাকছে এবং জৈন যাত্রী যারা আছেন তাদের আলাদা মেনু থাকছে।

এক্সিকিউটিভ ক্লাসের প্রথম ধরনের মেনুতে থাকবে চা বা কফি বা গ্রিন টি বা লেমন টি। সঙ্গে চিনি বা গুড় বা সুগারফ্রি, দুধ, বিস্কুট বা কুকিজ দেওয়া হবে। প্রাতরাশে দেওয়া হবে ওটস বা মুসলি অথবা কর্নফ্লেকস বা চকোস বা রাগি বাইটস। সঙ্গে গরম বা ঠান্ডা দুধ এবং চিনি বা গুড় বা মধু। সঙ্গে চারটি লুচি, ছোলার ডাল বা আলুর দম, ২টি ভেজিটেবল কাটলেট আর দই।

যে সকল যাত্রীরা আমিষ খাবেন, তাঁদের জন্য ভেজ কাটলেটের বদলে রয়েছে ডিমের অমলেট। সঙ্গে কলা বা আপেল বা কমলা লেবু দেওয়া হবে। প্রাতরাশে থাকবে একটি ডিম ছাড়া মাফিন বা ব্রাউনি বা ফ্রুট কেক বা ওয়ালনাট কেক। প্রাতরাশের সঙ্গে পরিবেশন করা হবে চা বা কফি। প্রাতরাশের পর যাত্রীদের দেওয়া হবে টমেটো স্যুপ।

আরও পড়ুন : লোকাল ট্রেনের জায়গায় আসছে বন্দে ভারত, কি কি থাকবে জানালো রেল

মধ্যাহ্ন ভোজে যাত্রীদের দেওয়া হবে একটি বান পাউরুটি বা ক্রোয়াশোঁ, পিস পোলাও, ২টি ত্রিকোণ পরোটা, মুগের ডাল, মটর পনির (৭০ গ্রাম) বা ডালমা, ভেন্ডি কুরকুরি। যে যাত্রীরা আমিষ খান তাদের দেওয়া হবে পনির বা ডালমার বদলে বাঙালি ধাঁচে রান্না করা চিকেন কষা (৭০ গ্রাম)। শেষ পাতে দেওয়া হবে সাদা বা মিষ্টি দই, আইসক্রিম, ছানা পোড়া বা ক্ষীরকদম।

অন্যদিকে পুরি থেকে হাওড়া আসার সময় বন্দে ভারতের এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের যাত্রীদের বিকালে দেওয়া হবে শিঙারা, চিজ স্যান্ডউইচ, বাদাম বা নারকেলের চিক্কি বা ক্যারামেল পপকর্ন। এছাড়াও থাকছে আলুর ভুজিয়া বা চানাচুর বা ঝালমুড়ির ৩০ গ্রামের প্যাকেট। এছাড়াও চা বা কফি বা গ্রিন টি বা লেমন টি থাকছে। তবে মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে কোনো দিন চিকেন কষার বদলে চিকেন রোস্ট বা মাছের ঝোল পরিবেশন করা হবে। কোনও দিন আবার প্রাতরাশে লুচির বদলে থাকবে পরোটা।