ব্রেকিং : প্রয়াত দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে

নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দিল্লির এইমসে ভর্তি ছিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দিন কয়েক আগে তার অবস্থা আরো সংকটজনক হলে লাইফ সাপোর্টিং সিস্টেমের মধ্যে রাখা হয়। কিন্তু তার পরেও ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তার ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্র। সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রথম মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দিন কয়েক আগে দেশের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রয়াণের পর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলের আরো এক নক্ষত্রের পতন।

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আগস্ট মাসের ৯ তারিখে অরুণ জেটলিকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমস হাসপাতালে। তারপর থেকেই সংকটজনক অবস্থায় কাটাচ্ছিলেন তিনি। প্রথমেই তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয় পরে, তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়। পরে তাঁকে ভেন্টিলেশনে আনা হয়।

অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে দেখতে যান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, লোকসভার স্পিকার সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সাল থেকে কিডনির সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। সে সময় শুরু হয় ডায়ালাইসিস। পরে প্রতিস্থাপন করা হয় কিডনি। কিন্তু তার পরেই তার শরীরের ধরা পড়ে মারণরোগ ক্যান্সার। চিকিৎসার জন্য তিনি আমেরিকাতেও পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।

এমনকি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটের লড়াই থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন তিনি। মোদি সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নতুন করে সরকার গঠন করলেও কেবলমাত্র শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর মোদির মন্ত্রিসভায় ফিরে আসেননি।

বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা প্রাণের শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহল। দেশের নেতারা তাদের টুইটার হ্যান্ডেল ইতিমধ্যেই শোক প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।