অমরনাথ দত্ত : রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ৩১শে জুলাই পর্যন্ত বীরভূমের ৬টি পৌরসভা এলাকা সিউড়ি, সাঁইথিয়া, বোলপুর, দুবরাজপুর, রামপুরহাট, নলহাটিতে দুপুর ১২ টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করার। আর এই লকডাউনের সিদ্ধান্তের আগামীকাল অর্থাৎ ৩১ শে জুলাই শেষ দিন। কিন্তু বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিলেন, আগামীকাল ও পরশু বীরভূমে লকডাউন হবেনা।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দেন, “যেহেতু এক তারিখে (১লা আগস্ট) কুরবানী আছে তাই আগামীকাল ও পরশু বীরভূমে লকডাউন হবে না। তারপর আবার ২ তারিখ (২রা আগস্ট) থেকে নতুন করে লকডাউন শুরু হবে বীরভূমে। কালকে এবং পরশু সারা দিনই খোলা।”
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এদিন জানান, “আগস্ট মাসের ২ তারিখ থেকে দুপুর ৩টে থেকে জেলায় শুরু হবে লকডাউন। আর তা চলবে রাত্রি ১০টা-১১টা পর্যন্ত। কিন্তু কতদিন এই লকডাউন চলবে? সে বিষয়ে তিনি জানান, “এটা মোটামুটি বীরভূম যত তাড়াতাড়ি রিকভারি হবে ততো তাড়াতাড়ি লকডাউনটা তুলে নেবো।”
দুপুর ৩টে থেকে লকডাউন জারি করার বিষয়ে তিনি জানান, “লেবারদের ক্ষতি হচ্ছিল। এইসব অসুবিধা হচ্ছিল। ছোটখাটো দোকানদারদের অসুবিধা হচ্ছিল। ৩টে করলে ঠিক হবে না! ৩ টের পর মানুষ আর মার্কেটে বের হয় না। কোন প্রবলেম হবে না।”
আর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এই ঘোষণার পরেই বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে লকডাউন সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যে নির্দেশিকায় বলা হয় আগামী কাল অর্থাৎ ৩১ শে জুলাই সমস্ত পৌর এলাকা এবং গ্রামগঞ্জে সকাল ৫ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সমস্ত রকম বাজার ঘাট, দোকানপাট সব কিছু খোলা থাকবে। বীরভূম জেলা সভাপতির ঘোষণা এবং তারপরেই জেলা প্রশাসনের এমন নির্দেশিকা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।