করোনা আবহে অনলাইনে খাবার অর্ডার করলেও মেনে চলুন কয়েকটি নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে বাড়ির খাবার খেয়ে খেয়ে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তাই পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক না হতেই মানুষ বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করছেন। কিন্তু মানুষের মনে আবার ভয়ও আছে।তারা ভাবছেন অনলাইন রেস্তোরাঁ থেকে এই মুহূর্তে খাবার খাওয়া কি নিরাপদ?

করোনা সংক্রমণের এই দিনগুলিতে খাবারের সংক্রমণ এড়াতে ‘ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। আর এই গাইডলাইনকে ভর করেই একটি অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা বর্তমান পরিস্থিতিতে কতকগুলি নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছে। সেই গাইডলাইন বা নির্দেশিকাগুলি অথবা নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে প্রতিটি গ্রাহক ও ডেলিভারি বয়কে।

কী কী মেনে চলতে হবে?

খাবারের প্যাকেট : অর্ডার করা খাবারটি যে প্যাকেটে আসছে সেই প্যাকেটটি খাবার সমেত আলাদা কোন জায়গায় রেখে দিন।

খাবারের প্যাকেটটি ফেলুন : তারপর প্যাকেটটি খুলে নিয়ে সেটিকে ডাস্টবিনে ফেলে দিন ঘরের মধ্যে রাখবেন না।

হাত পরিষ্কার করা : এই যে বাইরে থেকে খাবারটি আপনি রিসিভ করলেন এর জন্য সাবান জল দিয়ে হাত স্যানিটাইজ করুন।

চামচ ব্যবহার করা : চামচ ব্যবহার করে খাবার পরিবেশন করুন।

খাবারের কন্টেইনার : খাবারের প্যাকেজ বা কন্টেইনারটি ফেলে দিন।

যিনি খাবার ডেলিভারি করবেন সেই ডেলিভারি বয়কেও এক্ষেত্রে কতগুলি নিয়ম মানতে হবে করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য।

উল্লেখ্য ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) ডেলিভারির সময়
কিছু নিয়মগুলি মেনে চলতে বলছে।

সেই নিয়মগুলি কী কী জানেন?

সামাজিক দূরত্ব বজায় : অর্ডার করা খাবারটি গ্রাহকের দরজার বাইরে রেখেই গ্রাহককে কল দেওয়া।

১ মিটারের ব্যবধান : গ্রাহক ও ডেলিভারি বয়ের মধ্যে ন্যূনতম ১ মিটার ব্যবধান রাখতেই হবে।

ছোঁয়া এড়িয়ে চলা : UPI, QR কোড, নেট ব্যাঙ্কিং, ই-ওয়ালেট ইত্যাদির মধ্য দিয়ে খাবারের দাম দিতে হবে। যদি কেউ নগদ পেমেন্ট দিয়ে খাবারের দাম দেন তাহলে সেক্ষেত্রে পেমেন্টটি নেওয়ার পরে ডেলিভারি বয়কে হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজ করতে হবে।