India: আগামী প্রজন্ম আর দেখতে পাবে না ভারতের বিখ্যাত এই ৪টি জায়গা! জোর জল্পনা

Many parts of India will not see the next generation: গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রকোপে পৃথিবীর বহু জায়গা কিন্তু ভবিষ্যতে অবলুপ্ত হয়ে যাবে। এই তালিকা থেকে বাদ যাবে না ভারতেরও (India) কিছু স্থান। ২০৫০ সালে পৃথিবীর বহু জায়গা মানচিত্র দেখে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। আপনি জানলে অবাক হবেন এই সত্যটি। ভূতত্ত্ববিদরা আশঙ্কা করছেন যে, আগামী দিনের প্রজন্মরা আর দেখতে পাবে না অতি পরিচিত কিছু জায়গা।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবে আগামী দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য ভারতের (India) গর্ব তাজমহল। উত্তরপ্রদেশের এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। আসলে যে কাঠের উপর তাজমহল তৈরি তা যমুনা নদীর জল থেকে শক্তি পায়। যমুনার জল আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে জলের অভাবে তাজমহলের গোড়ায় নানা রকম পোকামাকড় দেখা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে যমুনা নদী শুকিয়ে গেলে তাজমহল ভেঙে পড়বে।

এই তালিকাটিতে রয়েছে লাদাখের হেমিস ন্যাশনাল পার্ক। খুবই দুঃখের কথা যে স্নো লেবার্ড এর জন্য বিখ্যাত এই হেমিস ন্যাশনাল পার্টি আগামী দিনে বিলুপ্ত হতে পারে। বর্তমানে স্নোলি পার্ট এর সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে যার ফলে এই ন্যাশনাল পার্কের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের মুখে। এছাড়া গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবের কারণে বিলুপ্ত হতে পারে সিমলার সিভিক সেন্টার। বর্তমানে হিমাচল প্রদেশের এই সিভিক সেন্টারটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে।

ভারতের (India) যেসব স্থান ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো মাজুলী দ্বীপ। এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি অবস্থিত আসামে। এটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি স্থান। এই স্থানটি আগে ছিল ১২০০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। এখানে আগে ছিল ২৬০ প্রজাতির পাখি। কিন্তু বর্তমানে এই দ্বীপটি মাটি ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে নদীর তলায় তলিয়ে যাচ্ছে।আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, ২০৪০ সালের মধ্যে এই দ্বীপটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হল সুন্দরবন, যা বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। কিন্তু জানলে দুঃখ পাবেন যে, ভবিষ্যতের এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ঘাঁটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবী থেকে। এই অঞ্চলটি আসলে অনেক বিপন্ন জাতির আবাস কেন্দ্র। কিন্তু আস্তে আস্তে সুন্দরবন অঞ্চলটি গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবে এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে আরেকটি মূল কারণ হলো জীবাশ্ম খনন।