এশিয়ার ধনীদের তালিকায় মুকেশ আম্বানিকে কড়া টক্কর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আদানির

নিজস্ব প্রতিবেদন : এশিয়ার ধনীতম শিল্পপতিদের তালিকায় এবার চিনের ধনকুবের জং শানশানকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন ভারতের গৌতম আদানি। শুধু দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসায় নয়, পাশাপাশি প্রথম স্থানে থাকা মুকেশ আম্বানিরকেও কড়া টক্কর দিতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি বর্তমানে যে গতিতে তার সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ছে তাতে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই তিনি এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিকে টপকে যেতে পারেন বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।

আর এই পরিসংখ্যান একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপিত করছে। যা হলো তাহলে কি আর মুকেশ আম্বানি এশিয়ার শীর্ষতম ধনী ব্যক্তি থাকবেন না? আদানির দ্রুতগতিতে সম্পত্তি বৃদ্ধিই এই সম্ভাবনাকে উস্কে দিচ্ছে। হিসেব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে কেবলমাত্র ২০২১ সালেই আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩.৮ বিলিয়ন ডলার। গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই সময়ে মাত্র দু’জন ধনকুবেরের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে এই সময়ে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেলেও মুকেশ আম্বানির ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা ঘটেছে। সম্পত্তি বৃদ্ধি তো দূরের কথা বরং এই সময় তার সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ৩৯৮ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ যখন আদানির সম্পত্তির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ঠিক সেই সময়ে আম্বানির সম্পত্তির নিম্নমুখী।

আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধির কারণ

বর্তমানে আদানির ৬টি সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইসেস, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি পাওয়ার, আদানি গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশন-এর বর্তমান বাজার মূল্য ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তার প্রতিটি সংস্থার শেয়ার বর্তমানে আকাশছোঁয়া ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণেই আদানির সম্পত্তির ভাগ এইমুহূর্তে এতটা ঊর্ধ্বমুখী।

[aaroporuntag]
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে শীর্ষ ধনীদের তালিকা আম্বানি এবং আদানি দুজন পরপর ১৩ ও ১৪ নম্বর স্থানে রয়েছেন। মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৬.৩ বিলিয়ন ডলার। আর সেই জায়গায় গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৬৭.৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এই দুই ভারতীয় ধনকুবেরের সম্পত্তির পার্থক্য বর্তমানে মাত্র ৮.৭ বিলিয়ন ডলার।