গৌতম কেবল মুখ, আগামী সাম্রাজ্য বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এই ব্যক্তির হাত

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্ব বাণিজ্যিক দুনিয়ায় সব সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে গৌতম আদানি (Gautam Adani) এবং তার আদানি গোষ্ঠীকে (Adani Group)। কখনো তরতরিয়ে প্রতিপত্তি বৃদ্ধি আবার কখনো তরতড়িয়ে প্রতিপত্তি হ্রাস পাওয়ার কারণে আদানি গোষ্ঠী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আদানি গোষ্ঠীর প্রতিপত্তি বৃদ্ধি বিশ্বকে যেমন চমকে দিয়েছে, ঠিক সেই রকমই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিপত্তি হ্রাস আরও বেশি চমকে দিতে শুরু করেছে।

দেখা গিয়েছে গত দু’বছরে যেভাবে প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে গৌতম আদানি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের ধনী শিল্পপতিদের তালিকায় প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন, ঠিক সেই রকমই মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সেই ধনী শিল্পপতিদের তালিকা থেকে ছিটকেও গিয়েছেন। বর্তমানে এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে গৌতম আদানি প্রথম ২৫ এর ধারে কাছে নেই।

তবে গৌতম আদানি কিভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সম্পত্তির মালিক হলেন সেই কৌতুহল অনেকের মধ্যেই রয়েছে। অনেকেই এর মূল কারিগর হিসাবে গৌতম আদানিকে ভেবে থাকলেও তা কিন্তু সঠিক নয়। আদানি সাম্রাজ্যের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করার পিছনে যিনি রয়েছেন তিনি হলেন বিনোদ। আদানি গোষ্ঠীর প্রতিপত্তি বৃদ্ধির মূল কারিগর হিসাবে বিনোদ আদানিই (Vinod Adani)। যদিও তাকে বড় কোন পদে রাখা হয়নি।

হিন্ডেনবার্গের তরফ থেকে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, কারচুপি করে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল বিনোদ আদানির। বিনোদ আদানি হলেন গৌতম আদানির দাদা। বিনোদ আদানির সঙ্গে তার স্ত্রী রঞ্জনবেন। এই দুজনকে বিভিন্ন নথিতে বেনিফিশিয়ারি হিসাবে যুক্ত করে কারচুপি করার অভিযোগ তুলেছে হিন্ডেনবার্গ।

গত বছর আগস্ট মাসে ১০.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দু’টি সিমেন্ট ব্যবসার মালিকানা নিজেদের দখলে আনার কাছাকাছি পৌঁছেছিল আদানি গোষ্ঠী। সেই সময় সংস্থার তরফে এবং তাদের ব্যাঙ্কগুলি লেনদেনের নথি সামনে আনে। যাতে উল্লেখ রয়েছে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ভার্জিন, মরিশাস এবং দুবাইয়ের সাতটি সংস্থার কথা। যারা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যার মধ্যে একটি ফার্ম সিমেন্ট কোম্পানির শেয়ার খোলা বাজার থেকে কিনবে বলে ঠিক হয়।