২০০ দুঃস্থ পরিবারের পাশে গীতা ভবন, ১ লক্ষ টাকার সামগ্রী উপহার

লাল্টু : দেশজুড়ে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন দেশে। আর এই লকডাউন চলাকালীন আমজনতাকে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়ির মধ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন হতদরিদ্র পরিবারগুলি। এই সকল হত দরিদ্র পরিবারগুলির পাশে এই কয়েকদিনে আমরা অজস্র মানুষকে দাঁড়াতে দেখেছি। আর এবার জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই সকল দুঃস্থ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল খয়রাশোলের গীতা ভবনকে।

খয়রাশোল ব্লকের এমন ২০০টি পরিবারকে চিহ্নিত করা হয় যারা দিনমজুর অর্থাৎ প্রতিদিনের রোজগারের উপর নির্ভরশীল। তাদের এখন রোজগার না থাকায় কিভাবে জীবনযাপন করবেন তা নিয়ে যখন তারা চিন্তিত তখন এই গীতা ভবন একডালি উপহার নিয়ে তাদের সামনে হাজির। মঙ্গলবার খয়রাশোলের ইদিলপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় ২০০ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পূর্ণ উপহারের প্যাকেজ। যাতে প্যাকেটিং করা অবস্থায় ছিল ৪ কেজি চাল, আলু, ডাল, রান্নার তেল, মুড়ি, সবজি ও বিস্কুট। পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ ১০০ টাকা করে। সর্বসাকুল্যে এদিন গীতা ভবন ওই সমস্ত দুঃস্থ পরিবারদের হাতে প্রায় ১ লক্ষ টাকার সামগ্রী তুলে দেয়। আর এই সম্পূর্ণ কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ।

দুঃস্থদের হাতে উপহার তুলে দিয়ে স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ জানান, “বিশ্বজুড়ে এযেন তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। যে আবহ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। আর এই যুদ্ধের সহযোদ্ধা হয়ে আমরা আজ খয়রাশোল ব্লকের ২০০টি পরিবারের হাতে এই সামান্য সামগ্রী তুলে দিলাম। পাশাপাশি আমি স্থানীয়দের অনুরোধ করছি আপনারা বাড়ি থেকে বের হবেন না, সব সময় হাত-মুখ পরিষ্কার করে রাখবেন। আগে আমাদের বাঁচতে হবে। তারপর আমরা মন্দিরে মন্দিরে হরিনাম সংকীর্তন করব, মসজিদে মসজিদে নামাজ পড়বো।”