“অনুব্রত মণ্ডল কতজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, লিস্টটা দাও”, দিলীপ ঘোষ

লাল্টু ও হিমাদ্রি মণ্ডল : দিন কয়েক ধরেই বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় কর্মীসভা চালানোর সময় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে দেখা যাচ্ছে কর্মীদের সামনে। আর এপ্রসঙ্গে বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বললেন, “কতজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছে? আমাকে লিস্টটা দাও। বীরভূমে ২৫ লক্ষ মানুষ থাকলে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূমে এসেছিলেন নির্বাচনী প্রচারে। সেই প্রচারে তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন, “এই ভোটে সিআরপিএফ জাওয়ানরা থাকবেন। আর তার সঙ্গে আমাদের কর্মীরাও লাঠি নিয়ে থাকবেন।” দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয় এবং সেই ঘটনার জামিন নিতে বুধবার দুবরাজপুর আদালতে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জামিন নেওয়ার পর তিনি রাজ্য সরকার এবং তাদের নানান কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করেন।

দিলীপ ঘোষ এদিন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “রাজ্যের দিনদিন দুর্নীতি বাড়ছে, হিং’সা বাড়ছে, করোনাও বাড়ছে। যা কিছু খারাপ জিনিস পশ্চিমবঙ্গে সেটা বেশি বাড়ে। এই সরকারের কোন কর্মক্ষমতা নেই আটকাবার। প্রথমে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তারপর পালিয়ে যান।” আর দুবরাজপুর থানায় মামলা নিয়ে এদিন তিনি জানান, “আমি তো ভুলেই গেছি কি বলেছিলাম। যাদের মনে কষ্ট ছিল তারা কেস করেছে। আমাকে অনেক জায়গায় ডাকে, আমি যাই আর পার্টির কাজ করে চলে আসি।”

অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের বিন্দোল গ্রামের বাসিন্দা হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্য মৃত্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষ এদিন জানান, “বিজেপির কেউ মারা গেলে তা আত্মহত্যা হয়। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূলের কেউ মারা গেলে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়। এই ভাবেই চলছে। এটা এখন সাধারণ মানুষও বুঝে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক হিংসা, খুন ইত্যাদি হচ্ছে সেগুলি পশ্চিমবঙ্গের পরম্পরা বিরোধী। এগুলির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। আর সেই লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি হবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আমাদের সাধারণ মানুষের প্রতি বিশ্বাস আছে।”

পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য শুভেচ্ছা জানান। তিনি জানান, “বীরভূম এবং পুরুলিয়ার মতো পিছিয়ে পড়া জেলাগুলি থেকে পড়ুয়ারা ভাল রেজাল্ট করছে। অভিভাবকরা সচেতন হচ্ছেন। এই সকল জেলাগুলিকে চিরকাল পিছিয়ে রাখা হয়েছে।”