‘১৯৭১-এর আগের প্রমাণসহ পাত্রী চাই’, বিয়ের বিজ্ঞাপন ভাইরাল

NRC ও CAA বিলের প্রভাব এবার পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপনে! পাত্রীর ১৯৭১-এর আগের প্রমাণ থাকা আবশ্যিক, উল্লেখ করলো পাত্রপক্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদন : খবরের কাগজে পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপন থেকে অনেকেই সন্মন্ধ দেখেন। সেক্ষেত্রে নিজের চাহিদার কথা পরিষ্কার করে উল্লেখ করেন অনেকে। এর আগে এরকমই কিছু পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়েছিল, ‘ঘর জামাই পাত্র চাই’, ‘বেশী বয়সি পাত্রের জন্য কম বয়সি পাত্রী চাই’ ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এবার CAA ও NRC-র প্রভাব পড়লো পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপনেও!

বিজ্ঞাপনটি এরকম, ‘ঘোষ ২৯/৫ ফুট ৯ ইঞ্চি, হাইস্কুল শিক্ষক, এইচ.এস. পাস, ৫ ফুট ১ ইঞ্চি উর্ধ্বে ভারতীয় ১৯৭১-এর আগের প্রমাণ সহ ঘোষ পাত্রী চাই।’

রবিবার এক বাংলা দৈনিকে এই বিজ্ঞাপন দেখা যেতেই রীতিমত সাড়া ফেলে দেয় তা। NRC ও CAA র প্রভাব কি তাহলে এবার পাত্র পাত্রীর ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে শুরু করলো? এই বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই বলছেন যে পাত্রীর বংশের প্রমাণপত্র চাওয়ার বিষয়টি বাড়াবাড়ি। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন লাগবে ১৯৭১ এর আগের প্রমাণপত্র?

২৯ বছর বয়সী এই পাত্রের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়াতে হলেও চাকরি সূত্রে তিনি থাকেন মুর্শিদাবাদে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর যদি বাড়ির বউয়ের নাম যদি নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়ে যায়, এই ভয়েই আছেন তারা। চারিদিকে NRC ও CAA নিয়ে যেরকম পরিস্থিতি সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সবদিক পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো বলে মনে করছেন তারা।

একটি সংবাদমাধ্যমে তারা জানাই যে, ভোটার কার্ড কিংবা আধার কার্ডের বর্তমানে কতটা গুরুত্ব সেই নিয়ে সংশয় আছে তাদের। তাই যারা দীর্ঘদিন ধরে এই দেশে স্থায়ী বাসিন্দা সেই বাড়ির কন্যার সাথেই ছেলের বিয়ে দিতে চান তারা।

তবে কি সত্যি এবার সমাজের প্রতি স্তরে, প্রতি ক্ষেত্রে এভাবেই প্রভাব বেড়েই যাবে এই নতুন আইনের? প্রশ্নটাকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুললো এই বিজ্ঞাপন।