জিনট্যাকে ক্যান্সারের আতঙ্ক! বাজার থেকে তুলে নিলো প্রস্তুতকারক সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালি মানেই খাদ্য রসিক। তবে বাঙ্গালীদের মধ্যে খাদ্য রসিকতার পাশাপাশি রয়েছে অম্বল, বুকজ্বালার মতো অজস্র রোগ। আর সে কারণেই অধিকাংশ বাঙালির বাড়িতেই রয়েছে একগুচ্ছ ঔষধ, যাদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে জিনট্যাক। আসলে এই ওষুধটি খেলেই সব মুশকিল আসান হয়ে ওঠে নিমেষে।

কিন্তু বাঙালির হাতের কাছে থাকা প্রিয় এই ওষুধটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন অর্থাৎ GSK. কিন্তু বিপুল পরিমাণে বিক্রি হওয়া এই ওষুধ তুলে নিতে কেন বাধ্য হলো ওই প্রস্তুতকারী সংস্থা!

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউএসএফডিএ জানিয়েছে, র‍্যানিটিডিন জাতীয় যে কোন ওষুধের মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা। কারণ এই সকল ওষুধের মধ্যে রয়েছে এনডিএমএ নামক বস্তু, যা থেকেই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর এই মারাত্মক তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই জিএসকে সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত জিনট্যাক ওষুধের বিক্রি বন্ধ রাখার।

তবে শুধু জিনট্যাক নয়, পাশাপাশি র‍্যানিটিডিন জাতীয় যত রকমের ওষুধ রয়েছে বাজারে, সেই সমস্ত রকমের ওষুধ বিক্রির বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐ সংস্থা। তবে ওই সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, এক্ষুনি ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে এই সকল ওষুধ বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতদিন এই র‍্যানিটিডিন জাতীয় ওষুধ তৈরি হতো ভারতের হায়দ্রাবাদে। শুধু জিনট্যাক নয়, এই র‍্যানিটিডিন জাতীয় বহু প্রকারের ঔষধ বিভিন্ন সংস্থা নির্মাণ করে বাজারে বিক্রি করে থাকে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র সরকারও। কেন্দ্র সরকার রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে ওই জাতীয় ওষুধ কোথাও বিক্রি হলে তা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য।

উল্লেখ্য এই জাতীয় ওষুধের তালিকায় জিনট্যাক ছাড়াও রয়েছে র‍্যানট্যাক, র‍্যানট্যাক-ওডি ইত্যাদি নানান নামে।