নামমাত্র খরচে স্ত্রীর হাত ধরে ঘুরে আসুন এই পাহাড়ি এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের বিভিন্ন সময় ভ্রমণপিপাসুরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে পিছপা হন না। ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মন টানে পাহাড়। আবার পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন নির্ধারিত সময় হয় না। বছরের বিভিন্ন ঋতুতে পাহাড় বিভিন্ন ধরনের রূপ নেয় আর সেই সকল রূপ দেখতেই পর্যটকরা দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।

তবে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। অর্থের অভাবেই বহু মানুষকেই দেখা যায় ইচ্ছে থাকলেও ঘর থেকে বেরোনোর কথা ভুলে যান। যদিও সঠিক প্ল্যান করে যদি বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় তাহলে খরচের ক্ষেত্রে অনেকটাই লাগাম টানা সম্ভব। সেই রকমই এমন এক পাহাড়ি গ্রামের কথা আমরা জানাবো যেখানে নামমাত্র খরচে স্ত্রীর হাত ধরে সময় কাটিয়ে আসা যেতে পারে।

এমন পাহাড়ি গ্রামটি হল ৮ হাজার ফুট উচ্চতায় গুরদুম। এখানে মাত্র ১৫ টি পরিবার বসবাস করে। এই জায়গায় সেই ভাবে পর্যটকদের যেতে দেখা যায় না আর সেই কারণে খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। যদিও যে সকল পর্যটকরা সান্দাকফু-ফালুট ট্রেক করেছেন তাদের অনেকেই এই গ্রাম এসেছেন। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের এই গ্রাম আলাদা অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে। এই গ্রামটি রয়েছে সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যানের কোলে।

এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এতটাই সুন্দর যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এই গ্রামের পথে হঠাৎ আপনাকে মেঘ জাপটে ধরবে। চারদিকে রয়েছে শুধু সবুজ পাইনের বন। পাখিদের কলতান আর মাঝে মাঝেই লাল রঙের রডোডেনড্রন আপনাকে বুঝিয়ে দেবে আপনি চলে এসেছেন গুরদুমে।

এছাড়াও গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে সাউজিখোলা নদী। গুরদুম থেকে খুব সহজেই এই নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঘুরে আসা যায়। সম্প্রতি এই গ্রামে ইজিফিসোর ব্যাকপ্যাকার্স ক্যাম্প খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেছে। এই সকল ক্যাম্পে থাকার জন্য খাওয়া-দাওয়া সহ মাথাপিছু মাত্র ১৫০০ টাকা খরচ হয়। এছাড়াও রয়েছে দু একটি হোমস্টে। যাওয়ার ক্ষেত্রে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রিম্বিক গাড়ি ভাড়া করতে হবে এবং রিম্বিক যাওয়ার পথেই পড়ে গুরদুম। মানেভঞ্জনের গাড়িতে চেপেও এই গ্রামে যাওয়া যায়।