জিয়াগঞ্জে যা ঘটেছিল মাত্র ৫ মিনিটে! জানালেন পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার

নিজস্ব প্রতিবেদন : সপ্তাহ খানেক পর জিয়াগঞ্জের শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পালের সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। মূল অভিযুক্ত হলেন উৎপল বেহরা, পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। পুলিশ তাকে সাগরদিঘির সাহাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।

এক সপ্তাহ পর ঘটনার কিনারা করে আজ মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান, “পুরো ঘটনার মূলে রয়েছে আর্থিক লেনদেন। এছাড়াও অভিযুক্তের সাথে অভব্য ব্যবহার করেছিল নিহত বন্ধু প্রকাশ পাল। গ্রেপ্তারের পর ধৃত উৎপলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে পুলিশ। অবশেষে পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সমস্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে নেয় উৎপল।”

কিন্তু কিভাবে এই সমস্ত ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। সে বিষয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধু প্রকাশের ফোনে শেষ ফোনটি ছিল উৎপলের। এছাড়াও আরও কিছু তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় উৎপলকে। তার আগেই আটকের পর সোমবার রাতভর চলে দফায় দফায় জেরা। আজ ধৃত উৎপলকে আদালতে তোলা হবে। উৎপলকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকে আজ পুলিশ সুপার জানান, “দুপুর ১২:০৬ থেকে ১২:১১র মধ্যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে নিহত শিক্ষক বন্ধু প্রকাশকে আঘাত করে উৎপল, তারপর স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা করেছে।”

পুলিশ সূত্রে এও জানা যায়, উৎপল মুর্শিদাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। নবমীর দিন সে বোনের বাড়ি সাগর দিঘিতে আসে। সেখানেই সে অস্ত্র কেনে। এরপর সে ওই শিক্ষককে ফোনে বীমার রশিদ চাই। তারপরেই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় ওই শিক্ষক গালিগালাজ করে উৎপলকে।

এরপর দশমীর দিন উৎপল বন্ধু প্রকাশের বাড়িতে আসে দুপুর ১২:০৬ মিনিটে। শিক্ষক দরজা খুলতেই তার উপর আক্রমণ করে উৎপল। তারপর স্ত্রী বিউটি পাল ও ছেলে অর্ঘ্যকে খুন করে অস্ত্র রেখে নিজের পোশাক পরিবর্তন করে পালিয়ে যায়। রক্তমাখা বীমার নথি থেকে আততায়ীর হদিস পায় পুলিশ।