রয়ে গেল জল্পনা, জট খুললেন না শুভেন্দু অধিকারী

নিজস্ব প্রতিবেদন : আজও জট খুললো না শুভেন্দু জল্পনার। ১০ তারিখ তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘দেখা হবে লড়াইয়ের ময়দানে। ১৯ তারিখ হবে মেগা শো।’ আর তারপর থেকেই ১৯ তারিখের জন্য অপেক্ষায় বসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকা মানুষেরা। কারণ তারা ভেবেছিলেন আজ হয়তো কিছু একটা হেস্তনেস্ত হবেই। কিন্তু কোথায়! বরং সেই জল্পনা আরও উসকে গেল।

বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী রামনগরের সভায় বলেন, “আমি এখনো একটি দলের প্রাথমিক সদস্য। আমি মন্ত্রিসভারও একজন সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে এখনো তাড়াননি, আমিও দল ছাড়িনি। যে ক’টি পদে আমি আছি, সবকটিতেই আমি নির্বাচিত। মন্ত্রিসভায় থেকে আমি দলের বিরুদ্ধে কথা বলবো না।”

তাহলে এত জল্পনার পর কি দাঁড়ালো? রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছিল শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলে জল্পনার মাঝে বৃহস্পতিবার রামনগরে তাঁর ঘোষিত মেগা শো থেকে তিনি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন। কিন্তু এই দিনের ভাষণে তেমন কোনো ইঙ্গিতই ধরা পড়লো না। বরং তিনি বলেন, “যারা হাইপ করছেন, সেই হাইপের দায়িত্ব তাদের। সমবায় তথা অরাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি রাজনীতির কথা বলবো না। নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক আমি নই। এই সভা নিয়ে সংবাদমাধ্যম অনেক হাইপ তৈরি করেছিল। আমি বলেছিলাম মেগা শো হবে, আর সেটা সমবায়ের শো।”

আর এসবের পর প্রশ্ন, তাহলে কি এত জল্পনা, কৌতুহল, শাসক দলে উৎকণ্ঠা, বিরোধী শিবিরে উৎসাহ, সবকি গলে জল হয়ে গেল? না। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী যথেষ্ট কৌশলী। তিনি বর্তমানে তৃণমূলের একজন সদস্য এবং মন্ত্রিসভার সদস্য থাকায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলছেন। তবে আজকের সভার কথাই শেষ কথা নয়। ইতিমধ্যেই দলের বিরুদ্ধে তার যে জায়গায় ক্ষোভ রয়েছে তার সম্পর্কে তিনি এক প্রবীণ তৃণমূল সাংসদকে সবকিছু জানিয়েছেন বলে খবর। যদিও তার ক্ষোভের বিষয়ে এখনো কোনো প্রত্যুত্তর না আসায় তিনি কৌশলী মনোভাব নিয়েই চলছেন।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী প্রবীণ ওই তৃণমূল সাংসদকে জানিয়েছেন দুটি শর্তের কথা। একটি শর্ত হলো, প্রশান্ত কিশোরকে দল তথা সংগঠনের ব্যাপার-স্যাপার থেকে সরাতে হবে। আর দ্বিতীয় শর্ত হলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি সংগঠন দেখতে হবে।