দাবাং অফিসারদের তিহাড়ে অনুব্রত, এই জেল ভেঙেও পালানোর ঘটনা ঘটেছিল পাঁচবার

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঠিকানা এখন তিহাড় জেল (tihar jail)। দীর্ঘদিন ধরেই তিহাড়ে অনুব্রতর ঠাঁই হবে এমন জল্পনা চলছিল আর সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল। অনুব্রত ছাড়াও তিহারে আগেই ঠাঁই হয়েছে তার দেহরক্ষী সায়গাল হোসেন এবং হিসাব রক্ষক মনিশ কোঠারির।

তিহার জেল দেশের অন্যতম একটি আলোচ্য জেল। যেখানে খুন, ধর্ষণ, জঙ্গি হামলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ক্রিমিনালদের রাখা হয়। আর এখানেই এবার থাকবেন অনুব্রত। দাবাং সব অফিসারদের ঘেরাটোপে এই জেল একেবারেই দুর্ভেদ্য। তবে বিহার জেল থেকেও দুষ্কৃতিদের পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে তা ঘটেছে ৫০ বছরে মাত্র পাঁচবার।

তিহার জেল থেকে প্রথম পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে ১৯৬৫ সালে। মার্কিন স্মাগলার ড্যানিয়েল ওয়ালকট সেসময় পুলিশের গাড়িতে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে সফদরজং বিমানবন্দর পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে চলে যান বিদেশ।

এরপর প্রায় ২০ বছর কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ২০ বছর পর ১৯৮৬ সালে ২০টি খুনের সাজা প্রাপ্ত আসামি চার্লস সোবরাজ সাহস দেখিয়েছিলেন জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার। তিনি তার নিজের জন্মদিনে ছেলের নিরাপত্তা রক্ষীদের মাদক মেশানো মিষ্টি খাইয়ে জেল ভেঙ্গে পালিয়ে যান। পুলিশের পোশাক পরে গটগট করে জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও পরে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।

ফের ২০ বছর পর ২০০৪ সালে সাংসদ ফুলনদেবীর হত্যাকারী শের সিং রানা জেল পালিয়ে যান। তার বন্ধু সন্দীপ ঠাকুর পুলিশ সেজে জেলের ভিতর প্রবেশ করেন এবং ট্রায়াল দেওয়ার নাম করে জেল থেকে পালিয়ে যান। জেল থেকে পালানোর সময় মধ্যাহ্নভোজের ৪০ টাকাও নিয়ে পালিয়ে ছিলেন তারা।

২০০৫ সালে ১৩ জন বিচারাধীন বন্দিকে জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের পালানোর ছক আগে থেকেই ছিল।

২০১১ সালে দুজন বিচারাধীন বন্দি আদালতে যাওয়ার সময় চম্পট দেন। যদিও পরে তাদের ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।