২০ শতাংশ দাম বাড়লো এই সকল জিনিসের, রইলো তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই সকল জিনিসের দাম বৃদ্ধির ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির উপর। এবার দামবৃদ্ধির এই তালিকায় আরও কতকগুলি জিনিস যুক্ত হওয়ায় বাড়তি চাপ বাড়লো সাধারণ মানুষদের মধ্যে।

বর্তমান অন্যান্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে দেশের অন্যতম বড় এফএমসিজি হিন্দুস্তান ইউনিলিভার সাবান এবং ডিটারজেন্টের দাম বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই সকল সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। মূলত কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের হুইল, রিন, সার্ফ এক্সেল আর লাইফবয় রেঞ্জের পণ্যগুলির দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে এই দাম বৃদ্ধি এই প্রথম নয়। গত বছরও আমদানি খরচ এবং কাঁচামালের দামের দিকে তাকিয়ে তারা এই সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই বছর বছর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অস্বস্তি বাড়ছে মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে।

হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সার্ফ এক্সেল সাবানের। আগে যেখানে এই সাবানের নির্দিষ্ট ওজনের দাম ছিল ১০ টাকা, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা। অর্থাৎ দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। লাইফবয় ১২৫ গ্রাম প্যাকের দাম ছিল ২৯ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ৩১ টাকা। পিয়র্স সাবানের ১২৫ গ্রাম সাবানের দাম ছিল ৭৬ টাকা, যা বেড়ে হলো ৮৩ টাকা।

রিন সাবানের কম্বো প্যাকের (চারটি ২৫০ গ্রামের বার) দাম ছিল ৭২ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ৭৬ টাকা। ২৫০ গ্রামের একটি বারের দাম ছিল ১৮ টাকা, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা। অন্যদিকে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, নভেম্বরে অধিকাংশ কোম্পানি নিজেদের পণ্যের পোর্টফোলিওতে ১-৩৩ শতাংশ দাম বাড়িয়েছিল। কেবলমাত্র লাক্স সাবানের নির্মাতারা দাম বাড়ায়নি।

এছাড়াও দাম বেড়েছে আটা আর বাসমতি চালের। প্যাকেটজাত গমের আটার দাম ৫-৮ শতাংশ আর বাসমতি চালের দাম ৮-১০ শতাংশ বাড়ানো হবে বলেই জানা যাচ্ছে। মূলত কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।