Jibankrishna Saha : রাজার হালে মানুষ! কীভাবে কাটল জীবনকৃষ্ণের ৬৫ ঘন্টা, জানলে কান্না পাবে

নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরাধিকার সূত্রে জীবন কৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha) বরাবর বিপুল সম্পত্তির মালিক। স্বাভাবিকভাবেই রাজার হালে কেটেছে তার জীবন। তবে বিপুল এই সম্পত্তির অধিকারী হয়েও তিনি জড়িয়ে পড়লেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তার নাম জড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার তার বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই চলে একের পর এক নাটক।

শুক্রবার বিকাল ৫:১৫ টা নাগাদ জীবন কৃষ্ণ সাহা তার নিজের দুটি মোবাইল ছুঁড়ে ফেলে দেন পুকুরে। সিবিআই আধিকারিকরা সেই দুটি মোবাইল উদ্ধারের জন্য পুকুরের জল সরানো থেকে শুরু করে শ্রমিক নামান, বুলডোজার নামান। তবে একটি মোবাইল হাতে এলেও আরেকটি আসেনি। শেষমেষ সোমবার সেই মোবাইলটি হাতে আসার পর সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

তবে প্রশ্ন হল রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করা জীবনকৃষ্ণ সাহা কিভাবে ৬৫ ঘণ্টা কাটালেন গৃহবন্দী অবস্থায়? ভালো-মন্দ খেতে ভালোবাসা জীবনকৃষ্ণ বাবুর কপালে এই ৬৫ ঘন্টায় কি কি জুটলো? আবার ঘুমোতেও ভালবাসেন বড়ঞার এই বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে ৬৫ ঘণ্টা কিভাবে জীবন কৃষ্ণ সাহা কাটিয়েছেন এবং কি কি খেয়ে কাটিয়েছেন তা শুনলে রীতিমত কান্না পাবে।

বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ সাহা কখনোই ঘুমে ব্যাঘাত পছন্দ করেন না। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত ৬৫ ঘণ্টা তাকে প্রায় না ঘুমিয়েই কাটাতে হয়েছে। আর খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রেও ভুলে যেতে হয়েছিল সমস্ত রকম বাছবিচার। গত দুদিন সকালে খেয়েছেন কেবলমাত্র লিকার চা। দুপুরে খেয়েছেন সামান্য ভাত ডাল আর রাতে একটি রুটি আর সবজি।

শুক্রবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর সারারাত ধরে জেরা করা হয়। এক মুহূর্তের জন্য ঘুমানোর সুযোগ পাননি। শনিবার দুপুরবেলায় টক ডাল, আলু পোস্ত আর ভাত খান। রাতে খান একটি রুটি আর চাল কুমড়োর তরকারি। ঐদিন সারারাত জেরা চলে আর ভোর তিনটে পাঁচ মিনিটে ঘুমাতে যান। তবে রবিবার দুপুরে তার পাতে ছিল মাছ। যদিও রাতে খান একটি রুটি আর ঢ্যাঁড়স ভাজা।