বেনিয়মের চাকরিতে কত ছিল বেতন, কত টাকা ফেরত দিতে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতাকে

নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি কান্ডে মেধা তালিকায় পরে নাম থাকা সত্বেও প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি খুইয়েছেন মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। শুধু চাকরি খুইয়েছেন এমনটা নয়, এর পাশাপাশি এই মামলায় পরেশ অধিকারীকে তিন তিনবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ববিতা সরকারের কলকাতা হাইকোর্টে করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি দৃষ্টান্তমূলক রায় দেন। দৃষ্টান্তমূলক সেই রায়ে তিনি জানিয়ে দেন, অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে কেবলমাত্র বরখাস্ত করা হচ্ছে এমনটা নয়, এর পাশাপাশি বেনিয়মের এই চাকরিতে তিনি যত মাসের বেতন পেয়েছেন সব টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।

আদালতের এই নির্দেশের পর স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে কৌতূহল কত টাকা ফেরাতে হবে অঙ্কিতাকে? তার বেতন কত ছিল? শিক্ষকতা একসময় ত্যাগের পেশা হলেও বর্তমানে যুগ বদলেছে এবং তাদের বেতনও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মোটা অঙ্কের বেতন পেতেন অঙ্কিতা অধিকারী।

কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অঙ্কিতা অধিকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর। তিনি যখন প্রথম চাকরিতে যোগ দেন সেই সময় তার বেতন ছিল মাসিক ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা। গত এপ্রিল মাসে তিনি বেতন পান ৪৭ হাজার ৫৬ টাকা।

৪১ মাস অর্থাৎ যত মাস অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি করেছেন সেই হিসাবে মোট টাকার অংক দাঁড়াচ্ছে ১৬ লক্ষ টাকা। এই পুরো টাকা অঙ্কিতা অধিকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকে। গড় ধরলে ৩৯ হাজার টাকার কিছু বেশি। এই পুরো টাকায় ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। এই পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অঙ্কিতাকে দুটি কিস্তির সুযোগ দিয়েছে আদালত। প্রথম কিস্তি রয়েছে ৭ জুন এবং দ্বিতীয় কিস্তি রয়েছে ৭ জুলাই। এই টাকা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।