এক উপায়ে বৈশাখীকে বিলিয়ে দেওয়া শোভনের সম্পত্তি ফিরে পেতে পারেন রত্না

নিজস্ব প্রতিবেদন : বৈশাখী শোভন রত্না, এই তিনের সম্পর্ক নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য। এরই মাঝে হঠাৎ জানা যায় শোভন চ্যাটার্জি তার সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জির নামে।

আর এই ঘটনা নিয়ে গত বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা। ঘটনাকে ঘিরে জল্পনার শেষও নেই। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এটা কি করে করতে পারেন শোভন চ্যাটার্জি? কারণ এখনও পর্যন্ত তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কি করে নিজের সম্পত্তির অধিকার থেকে স্ত্রীকে বঞ্চিত করতে পারেন? এছাড়াও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, শোভনের সন্তানরাও তো তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী এবং ন্যায্য দাবিদার। সে ক্ষেত্রে তারা কেন এই সম্পত্তি পাবেন না?

আর এই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে একাধিক পথ এবং সম্পত্তিতে কার কতটা অধিকার তা নিয়েও নানান মতামত। পাশাপাশি এই আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে, এখনো একটি উপায়ে শোভনের স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জী ফেরত পেতে পারেন বৈশাখীকে দান করা কোটি কোটি টাকার সেই সম্পত্তি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী পৈতৃক সম্পত্তির উপর অধিকার থাকবে শোভনের সন্তানদের। কিন্তু শোভন চ্যাটার্জি নিজে উপার্জন করে যে অর্থ জুগিয়েছেন অথবা যে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন তার উপর কারোর অধিকার নেই। ওই সম্পত্তি কার অধিকারে যাবে তা ঠিক করতে পারবেন একমাত্র শোভন চ্যাটার্জিই। সেক্ষেত্রে বৈশাখী ব্যানার্জিকে সম্পত্তি দান করার যে কাজ তিনি করেছেন তা আইনি দিক থেকে কোন ভুল করেননি।

তবে এই মতামত দেওয়ার সাথে সাথে অরুণাংশু ব্যানার্জি একটি ‘কিন্তু’ শব্দ জুড়েছেন। আর সেই শব্দ জুড়ে দেওয়ার সাথে সাথে এই সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার রাস্তাও রয়েছে রত্না চ্যাটার্জী এবং তার সন্তানদের বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

দান করে দেওয়া সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার পরিপেক্ষিতে আইনজীবী অরুণাংশু ব্যানার্জি জানিয়েছেন, এর জন্য আইনি লড়াইয়ে যেতে হবে এবং সেই আইনি লড়াইয়ে রত্না চ্যাটার্জী এবং তার সন্তানদের প্রমাণ করতে হবে শোভন চ্যাটার্জির মানসিক ভাবে অসুস্থতা রয়েছে অথবা মানসিক কোন সমস্যা রয়েছে। আর এটা প্রমাণ করতে পারলেই ওই দান করা সম্পত্তি বৈধ হবে না।

প্রসঙ্গত, শোভন চ্যাটার্জীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ সম্বন্ধে জানা গিয়েছে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামা থেকে। সেই সময়ের হিসাব অনুযায়ী তখন তার হাতে মোট সম্পত্তি ছিল ৬ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯১২ টাকা। যদিও বর্তমানে এই সম্পত্তি কত গুণ বেড়েছে অথবা কমেছে তা জানা যায়নি।