হোলিতে নোটে রং লেগে গেছে, রইলো RBI-এর নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দোল অথবা হোলি খেলার সময় রং তো লাগবেই। আর শরীরে, জামা কাপড়ে রং লাগার সাথে সাথে পকেটে থাকা নোটেও লেগে যায় রং। যা নিয়ে বড্ড অসুবিধায় পরতে হয় আমাদের। দোকানদাররা রং লাগানো কোনমতেই নিতে চান না। শুধু দোকানদাররা বলেই নয়, সবাই রং লাগানোর নিতে অস্বীকার করেন। আর যে কারণে আমরা খুঁজে পাইনা রং লাগা ওই নোট নিয়ে কি করবো?

তবে রং লাগানোর নোট পরিবর্তন বা বদলানো যেতে পারে ব্যাঙ্কে। কারণ ২০১৭ সালের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি নির্দেশিকা বলছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোনো নোট পরিবর্তন বা বদলে দেওয়ার কথা অস্বীকার করতে পারে না। তবে সেই নোট অবশ্যই আসল হতে হবে, নকল হলে চলবে না। পাশাপাশি নোটের গায়ে কোন রকম রাজনৈতিক স্লোগান লেখা থাকা চলবে না।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য নোট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশিকা জারি করলেও পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে, নোট ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নোটে রং লাগানো অথবা নোংরা করা থেকে বিরত থাকতে হবে বা এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে চিঁড়ে না যায়। এতে দেশের জাতীয় সম্পদের ক্ষতি।

পাশাপাশি আরবিআইয়ের তরফ থেকে এটাও বলা হয়েছে, কোন ছেঁড়া বা রং লাগানো নোট বদলানোর সময় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে দেখে নিতে হবে সেই নোট ইচ্ছাকৃতভাবে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে কিনা। যদিও এমনটা বোঝা খুব কষ্টকর তবে একটু ভালোভাবে দেখলে তা বোঝাও সম্ভব। এছাড়াও বাতিল হয়ে যাওয়া নোট কোনভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

২০০ ও ২০০০ টাকার নোট বদলানোর নিয়ম

নতুন নির্দেশিকায় নোট বদলানোর ক্ষেত্রে ২০০ ও ২০০০ নোট সংযোজন করতে ২০০৯ সালের নোট রিফান্ড আইনের সংশোধন করেছে RBI। তাতে নতুন ২০০০ ও ২০০ টাকার নোট বদলের নতুন নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০০ টাকার ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে যা বলা হয়েছে। যদি আপনার ২০০০ টাকার ছেঁড়া নোটের আকার ৮৮ বর্গ সেন্টিমিটার পর্যন্ত থাকে তাহলে আপনি ২০০০ টাকায় ফেরৎ পাবেন। সেরকমই যদি ৪৪ বর্গ সেন্টিমিটার পর্যন্ত নোটের অংশ সুরক্ষিত থাকে তাহলে অর্ধেক মূল্য ফেরত পাবেন। সেক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ২০০০ হাজার টাকার নোটের আকার ১০৯.৫৬ বর্গ সেন্টিমিটার।

২০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রেও একই রকম পদ্ধতি বা নিয়ম। নোটের ৭৮ বর্গ সেন্টিমিটার সুরক্ষিত থাকলে পাবেন পুরো মূল্য ও ৩৯ বর্গ সেন্টিমিটার সুরক্ষিত থাকলে পাবেন অর্ধেক টাকা।