কাদের দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি, ১৫ দফা গাইডলাইন নবান্নের

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যার এই অনুমোদন রাজ্যের বহু দুঃস্থ দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই আবাস যোজনা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে সেই সকল অভিযোগ যাতে না ওঠে তার জন্য নড়েচড়ে বসল নবান্ন।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই আবাস প্লাস নামে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে এবং সেই তথ্যভাণ্ডারে ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। এই তথ্যভাণ্ডার থেকেই অগ্রাধিকার হিসাবে বেছে নেওয়া হবে তারা এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি পাবেন। এই তথ্য ভান্ডার এবং নতুন করে বাড়ি দেওয়ার আগে একাধিক বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

যে ১৫ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে সেই গাইডলাইন অনুযায়ী বাড়ি দেওয়ার আগে ওই ব্যক্তির পরিবারের কারো পাকা বাড়ি রয়েছে কিনা, অতীতে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলী বা অনুরূপ কোনো সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পয়েছেন কিনা ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এই ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকলে তিনি আর এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন না।

এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি যাওয়ার আগে সার্ভে করে দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে করে যারা এই প্রকল্পের বাড়ি পাচ্ছেন তাদের বা তাদের পরিবারের যেন কারো মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকার বেশি না হয়। এছাড়াও তাদের নাম বাদ যাবে যাদের কেউ সরকারি চাকরি করেন অথবা আয়কর বা বৃত্তি কর দেন।

এছাড়াও তারা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না যাদের ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। পাশাপাশি তাদের নাম বাদ যাবে যাদের যন্ত্র চালিত নৌকা, কৃষি সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ধরনের গাড়ি রয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই সকল তথ্য যাচাই করার জন্য জেলাশাসক, বিডিও এবং মহকুমা শাসকদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে করে কোথাও কোন রকম খামতি না থাকে।