ট্রেনে মোটরসাইকেল নিয়ে যাবেন, রেলের এই নিয়ম জানেন তো

নিজস্ব প্রতিবেদন : কর্মসূত্রে হোক অথবা পড়াশোনার জন্য বহু মানুষকেই নিজের শহর ছেড়ে অন্য শহরে থাকতে হয়। নিজের শহর ছেড়ে অন্য শহরে থাকার জন্য সেখানে প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘরের মতোই সমস্ত জিনিস গুছিয়ে নিতে হয়। আবার সেখান থেকে কাজ হয়ে যাওয়ার পর সবকিছু গুছিয়ে ফিরিয়ে আনতে হয়।

দূরে কোনো জায়গায় যাওয়া অথবা বসবাস করার ক্ষেত্রে এবং সেখান থেকে জিনিসপত্র ফিরিয়ে আনার জন্য অধিকাংশ মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভরশীল। এমনিতে যাত্রী হিসেবে ট্রেনে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সফর করার জন্য কেবল মাত্র ট্রেনের টিকিট বুকিং করলেই হয়। লাগেজ আনার ক্ষেত্রেও তেমন কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু মোটরবাইক ইত্যাদি ট্রেনে চাপিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের এই নিয়ম মানতে হয়।

জিনিসপত্র ট্রেনের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের যে দুটি নিয়ম রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো লাগেজ এবং অন্যটি হলো পার্সেল। নির্দিষ্ট ওজনের লাগেজ নিয়ে যাত্রীরা নিজেরাই ট্রেনের সফর করতে পারবেন। কিন্তু পার্সেলের ক্ষেত্রে যাত্রীরা সফর না করে নিজেদের জিনিসপত্র অন্যত্র পৌঁছে দিতে পারেন।

মোটরবাইক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই পার্সেল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে যেসব স্টেশনে পার্সেল কাউন্টার রয়েছে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে এবং নথিপত্র দিয়ে নিজেদের বাইক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্যে পার্সেল বুকিং করতে হবে।

ট্রেনে করে মোটরবাইক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য প্রয়োজন হয় রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ইনসিওরেন্স পেপারস, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ইত্যাদি। এছাড়াও বাইকটিকে খুব ভালোভাবে প্যাক করতে হবে। পেট্রল ট্যাঙ্কে কোনরকম পেট্রোল থাকলে হবে না। পেট্রোল থাকলে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হতে পারে। এই ভাবেই বাইক পাঠানোর জন্য দূরত্বের ওপর ও বাইকের ওজনের ওপর খরচ নির্ভর করে। ৫০০ দূরত্বে কোন বাইক পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রায় ১২০০ টাকা খরচ হয়। এছাড়াও প্যাকিংয়ের জন্যে খরচ হয়ে থাকতে পারে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।