অমরনাথ দত্ত : এ মাসের ৮ তারিখ বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন। মৃত্যুর আগে শেষ জবানবন্দিতে স্বরূপ জানিয়ে যান, তাকে তৃণমূল কর্মীরা মেরেছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের দিকে। তারপর থেকে মূল অভিযুক্তকে ধরার দাবিতে বিজেপি লাগাতার আন্দোলনে নামে। ধরনা মঞ্চ তৈরি হয় সিউড়ি এসপি অফিসের সামনে, যদিও শনিবার সেই ধরনা মঞ্চ পুলিশ উঠিয়ে দেয় ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে।
শনিবার গ্রেপ্তার হন বিজেপির জেলা সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী, যদিও রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে পৌঁছান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সেখানে পৌঁছে তিনি রাজ্যের শাসনে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তোলেন। মুকুল রায়ের সামনে নিহত স্বরূপ গড়াইয়ের স্ত্রী সিবিআই তদন্তের দাবি করে মূল অভিযুক্তের ফাঁসি চান।
এরপরই বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন, মূল অভিযুক্তকে সাত দিনের মধ্যে ধরা না হলে আমরা ধরবো।
তিনি বলেন, “এখানকার পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমি এখানকার পুলিশকে আবার বলবো, এখানকার পুলিশকর্তা যিনি আছেন তাকে আবার বলবো, আমরা সময় দিচ্ছি মাত্র ৭ দিন। মুখ্য অভিযুক্তকে যদি না ধরা হয়, তাহলে এরপরে মুখ্য অভিযুক্তকে কিভাবে ধরতে হয়, কি করতে হয় তা আমরা দেখাবো। পুলিশ যেন দাঁড়িয়ে দেখে, যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেবো। জনগণকে নিয়ে আমরা যা করার করবো, পুলিশ যেন দাঁড়িয়ে দেখে।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “আরতো কয়েকটা মাস, তারপর সরকারটা বদলাবে, তৃণমূল থাকবে না, বিজেপি আসবে। আর এদের এমন অবস্থা করবো না, দেশদ্রোহীর কেস দিয়ে সারা জীবনের জন্য জেলে ঢুকিয়ে দেবো। আর ফিরবে ডেড বডি, তার ব্যবস্থা করে দেবো।”