“শান্তি পেতে টাকা (সারদা) ফেরৎ দিতে চাই” শতাব্দী, পাল্টা বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমে তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায় সদ্য সমাপ্ত হওয়া সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন করে সারদা চিটফান্ড মামলায় ইডির থেকে তলব পান। তলব পেয়ে সংসদে অধিবেশন চলার জন্য তিনি ইডির থেকে এক মাস সময় চেয়ে নেন। তারপর গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজির হন।

জুলাই মাসে বীরভূমের তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায় ইডির থেকে তলব পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মারফতের শোনা যাচ্ছিল, তিনি নাকি সারদার একটি সংস্থা থেকে পাওয়া ২৯ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে চান ইডিকে। আর এই প্রসঙ্গই উঠে আসে যখন আজ তিনি রামপুরহাটে ভগলদীঘি বালিকা বিদ্যালয়ে একটি সংখ্যা লঘু ছাত্রী আবাসিক উদ্বোধন করতে যান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “টাকা ফেরানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নি নাই। এটা নিয়ে কোন গল্প লেখা নয়, কোন ভয় নয়, কোন চাপ নয়। টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে পুরোপুরি আমার সিদ্ধান্ত, আমার ইচ্ছা। টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি আমি ভেবে দেখছি।”

তিনি আজ সাংবাদিকদের সরাসরি বলেন, এই যে এটা কার কথা বলা হচ্ছে সেই টাকা তাঁর পারিশ্রমিকের টাকা।

তারপরেই প্রশ্ন ওঠে, “পারিশ্রমিকের টাকা কেন ফেরত দেবেন?” আর তার উত্তরে তিনি বলেন, “শান্তি যদি কিনতে হয় কিনবো। তোমাদের এই যে প্রতিদিনের প্রশ্ন আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে, তারজন্যই।”

আর এই শতাব্দীর সারদা কাণ্ড নিয়ে পাল্টা বিজেপি। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল শতাব্দী রায়কে আক্রমন করে বলেন, “শতাব্দী রায় সারদার টাকা নিয়ে অনেকদিন থেকেই লিস্টেড। আরো অনেক নাম বিভিন্নভাবে তাঁর উঠেছে।” এরপরই তিনি শতাব্দি রায় সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, “টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা আগে বলেননি কেন? এতদিন চুপ ছিলেন কেন? সিবিআই, ইডি সব তদন্ত হয়ে যাওয়ার পর শেষে টাকা ফেরত! তিনি যদি অজান্তেই কোন ভুল করে থাকতেন, তাহলে আগেই ভুল স্বীকার করতে পারতেন। এখন তিনি বাধ্য হয়ে এমন কথা বলছেন। গরিব মানুষের টাকা নিয়ে তিনি মুক্তি পাবেন না। গা ধুয়ে নিরপরাধ হাজার চেষ্টা করলেও সাজতে পারবেন না।”