যেকোনো সময় ভেঙে পরতে পারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, মেরামতির আশ্বাস প্রশাসনের

লাল্টু : দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। যেকোনো সময় ভেঙে পরতে পারে বলে দাবি স্থানীয়দের। খুব দ্রুত এর মেরামতি না করা হলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। আর এমনটা শুনে প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হলো দ্রুত মেরামতির আশ্বাস।

দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোয়াপাড়া গ্রামে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ১২৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। জানা গেছে বামফ্রন্ট আমলে তৈরি হওয়া বহু পুরাতন এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর। বেহাল অবস্থার কথা জানানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়, কিন্তু কোন সুরাহা মিলেনি। বর্তমানে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নেই কোনো জানালা, দরজা লাগে না। ফলে সব সময় থাকে খোলা, বাড়িটি সিমেন্টের তৈরি হলেও বিমগুলি সব ফেটে গেছে, সিলিংয়ের চাঁই ছেড়ে পড়ছে, মেঝে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও একটা বড় বটগাছ বাড়িটির সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমন কি ওই গাছের শিকড় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে দেওয়ালের প্লাস্টারকেও নষ্ট করে দিয়েছে।

এর পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির চারপাশ ঝোপঝাঁড়, জঙ্গলে পরিণত হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন যে খাবার ব্যবস্থা থাকে সেই সব চাল-ডাল সহ অন্যান্য জিনিসপত্রও অন্যের বাড়িতে রাখতে হয়। শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রে কোন দরকারি কাগজপত্র রাখারও জায়গা নেই।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির বেহাল অবস্থার দরুণ যে সকল পড়ুয়ারা এই কেন্দ্রে আসে তাদের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। যতক্ষণ বাচ্চারা এখানে থাকে ততক্ষণ চিন্তায় থাকেন তাদের অভিভাবকরাও। এলাকাবাসীদের একটাই দাবি, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি যাতে সুস্থ পরিবেশ ফিরে পায় তার ব্যবস্থা যেন করে প্রশাসন।

আর এই পরিস্থিতির কথা শুনে দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় জানান, “২০টি এমন ভগ্নপ্রায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নাম পাঠানো হয়েছিল। যাদের মধ্যে ১১ টি মেরামতির অনুমোদন পেয়ে মেরামতির জন্য ফান্ড এসেছে। আর ঐ সকল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি মেরামতি করার পর যদি ফান্ড বেঁচে থাকে তাহলে ভালো, আর তা না হলেও বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে অন্য কোন ফান্ড থেকে দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি করে দেওয়া হবে।”