চিনে নিন হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় : আগেই সতর্ক হোন

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাত্র ২ দিনেই তাপমাত্রার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে দক্ষিণবঙ্গে। গতকাল থেকেই পারো ছুঁয়েছে ৪০ কাছাকাছি। আগামী কয়েক দিনে আরও বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। বৈশাখ মাসের শুরুতেই তাপমাত্রার এমন ঊর্ধ্ব গগনে রাজ্যবাসীর হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু হাঁসফাঁস অবস্থাই নয়, সাথে সাথে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। এই গরমে ঘর থেকে বের হওয়ার আগে অবশ্যই জেনে রাখুন হিট স্ট্রোকের লক্ষণ গুলি। হিট স্ট্রোকের লক্ষণ গুলি আগে থেকে জানা থাকলে জীবনের ঝুঁকি অনেকটাই কমতে পারে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কি কি?

  1. এত গরমেও যদি শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায় তাহলে জানবেন এ ঘটনা অস্বাভাবিক। শরীরে ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ।
  2. শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে ত্বক শুষ্ক এবং লালচে হয়ে যাওয়াও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
  3. রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে যাওয়া হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
  4. হিট স্ট্রোকের আগে শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়। যার ফলশ্রুতি হিসেবে প্রস্রাবের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
  5. নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত কমে যাওয়া এবং দ্রুত হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
  6. মাথা ঝিমঝিম, শরীরে খিচুনি হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
  7. প্রচন্ড রোদে গরমে চলা ফেরার পর বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
  8. হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হওয়া হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কী কী করণীয়?

  1. এই গরমে সব সময় হালকা রং এবং হালকা ধরনের জামা কাপড় পড়ুন। আঁটোসাঁটো পোশাক পরবেন না। যাতে করে সহজেই শরীরের মধ্যে হাওয়া চলাচল করতে পারে।
  2. যদি দেখেন কোন ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত তাহলে সেই ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়া অথবা ঠাণ্ডা পরিবেশে নিয়ে যান।
  3. হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির গায়ে জলে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ঠান্ডা কাপড় জড়িয়ে ফ্যানের বাতাসও দিতে পারে।
  4. যে সমস্ত ব্যক্তিরা সারাদিন রোদে ঘোরাঘুরি করে কাজ করেন তারা একটানা পরিশ্রম না পড়ে বিরতি নিয়ে নিয়ে কাজ করা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
  5. কারোর হিট স্ট্রোক হয়েছে এমন বুঝতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অথবা চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।