সিম কার্ড হোক অথবা ব্যাঙ্ক, জোড় করে আধার নাম্বার চাইলেই কোটি টাকা জরিমানা ও জেল

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আগেই রায় দিয়েছে কোন ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তারপরেও বহু ক্ষেত্রে আধার নাম্বার দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নতুন সিম কার্ডের কানেকশন নিতে অথবা এমএনপি করার ক্ষেত্রে এবং ব্যাংকের অনেক কাজের ক্ষেত্রেও আধার কার্ড বা আধার নাম্বার চাওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র সরকার। এবার জোড় করে আধার নাম্বার অথবা আধার কার্ড চাইলে পড়া শাস্তির ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার।

ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সামাজিক সুবিধা লাভের জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া আর কোথাও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। আর এই রায়ের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আধার নাম্বার দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হলে করা হবে ১ কোটি টাকা জরিমানা, হতে পারে ৩ থেকে ১০ বছরের জেল।

আধারের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ডেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বহু গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য থাকে এই আধারে। তাই এই তথ্য অপব্যবহারের সম্ভাবনা থাকে। সে কারণেই কেন্দ্রের তরফ থেকে এই বড় পদক্ষেপ।

এর আগে থেকেই নিয়ম আছে, কোন ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য ব্যবহার করার আগে নির্দিষ্ট ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি না নিলে ১০০০০ টাকা জরিমানা এবং হতে পারে তিন বছরের জেল। তাছাড়া অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তির ছবি বা আইডি কোথাও ব্যবহার করলে ১০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নিয়ম আগে থেকেই আছে।

আধার নিয়েই বেশ কয়েকটি মামলা চলার পর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, মোবাইল নাম্বারের সাথে আধার লিঙ্ক প্রয়োজন নেই। তবে প্যান কার্ডের সাথে আধার লিঙ্ক করতে হবে এবং আয়কর রিটার্নের জন্য জরুরী আধার কার্ড। অন্যদিকে জানানো হয় সিবিএসি, নিট অথবা ইউজিসির জন্য জরুরী নয় আধার। এমনকি কোনো ভর্তুকি পাওয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্কিমে আধার যুক্ত করতে না চাইলে পাওয়া যাবে আলাদা অপশন।

সুপ্রিম কোর্টের রায় আরো জানায়, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড পাবে না। এমনকি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও আধার বাধ্যতামূলক নয়। তার সাথে সাথে কেন্দ্রীয় সরকার আধারের ডেটা নিরাপদ করার জন্য যেন জরুরি আইন নিয়ে আসে, তার জন্যও নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।