প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার রেকর্ড থাকলেই বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে, নির্বাচন কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা অতিমারি জারি থাকলেও আগত কয়েকটি নির্বাচন ও উপ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বেশকিছু গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই সকল গাইডলাইন মেনে নির্বাচন হবে এই করোনা আবহে। নির্বাচন বলতে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন রয়েছে চলতি বছরের শেষে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন এবং একুশে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই সকল নির্বাচনের সাথে সাথেই দেশজুড়ে বেশকিছু রাজ্যে উপনির্বাচনও সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন বলে জানা গিয়েছে।

এই সকল গাইডলাইনের পাশাপাশি এবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে প্রার্থীদের জন্য নতুন ঘোষণা করা হলো। আর এই ঘোষণা হল নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীদের স্বচ্ছতা তুলে ধরার বড় প্রয়াস। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এখন থেকে যেসকল প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনরকম মামলার রেকর্ড থাকে তাহলে তা বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ ভোটারদের জানাতে হবে। নির্দেশিকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রার্থীদের কিভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থাৎ কোন কোন পর্যায়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ ভোটারদের তাদের মামলা বা অপরাধমূলক রেকর্ডের কথা জানাতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে প্রার্থীর অপরাধমূলক কোন কাজের সাথে যুক্ত থাকার রেকর্ড রয়েছে কিনা। যদি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন মামলা বিচারাধীন অবস্থায় থাকে তাহলে সেই মামলা বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে ভোটারদের।

বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ নির্বাচন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত বিজ্ঞাপন দিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে বিজ্ঞাপন দিতে হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম দিন পর্যন্ত। আর তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞাপন হবে নবম থেকে প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত।

এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এটাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, কোন প্রার্থী যদি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় থাকেন অর্থাৎ তার প্রতিপক্ষ কেউ না থাকে তাহলে তাকেও এই একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আর এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ভোটারদের সামনে প্রার্থীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য।