বৃষ্টি থেকে কবে মিলবে মুক্তি, জানালো হাওয়া অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদন : খাতায়-কলমে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। তবে এই বর্ষা বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলেনি বৃষ্টি থেকে মুক্তি। বৃষ্টি থেকে মুক্তি না মেলার মূলে রয়েছে নিম্নচাপ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতই গতকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কোথাও হালকা তো আবার কোথাও মাঝারি। সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। এমত অবস্থায় লক্ষ্মী পুজোর আগে কি এই বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলবে? কি বলছে হাওয়া অফিস।

হাওয়া অফিস সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে এখনই এই বৃষ্টি থেকে নিস্তার নেই। কারণ একটি নিম্নচাপ কাটতে না কাটতেই আরেকটি নিম্নচাপের অবস্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর তেলেঙ্গানার উপর নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর উপকূল থেকে ঢুকছে দক্ষিণী পূবালী বাতাস। এই কারণে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি লক্ষ্য করা যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।

মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও হতে পারে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে। ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেকটাই বেশি হতে পারে। আর যদি ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে তাহলে দুর্যোগের সম্মুখীন হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। এমত অবস্থায় এই বিপদ থেকে নিরাপদে থাকতে ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। উপকূলবর্তী এলাকা এবং সমুদ্রে নিম্নচাপের এই প্রভাব থাকতে পারে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।

অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই এই বৃষ্টির প্রভাব থাকবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি বাড়বে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরে রবিবার থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হবে। উত্তরের রাজ্যগুলিতে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হবে।