২০১০ সালের লাভপুর কাণ্ডের চার্জশিটে নাম এলো মণিরুলের, সঙ্গে মুকুলেরও

অমরনাথ দত্ত : ২০১০ সালে লাভপুরে তিন ভাইকে মেরে ফেলার ঘটনায় নতুন করে আবার নাম জুড়লো লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামের। শুধু মনিরুলই নয়, পুলিশের পেশ করা সাপ্লিমেনটারি চার্জশিটে প্ররোচনা ছড়ানোর দায়ে নাম জুড়েছে মুকুল রায়েরও।

জানা গিয়েছে, গত ৪ই ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে ২০১০ সালে হওয়া এই ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে চার্জসিট জমা দেয় পুলিশ। সেই চার্জসিট গৃহিত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে আবার তদন্ত শুরু করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। সেই চার্জশিট গৃহিত হয়েছে।” ২০১০ সালে লাভপুরের বুনিয়াডাঙ্গার সিপিআই কর্মী তিন ভাই কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে মণিরুল ইসলাম সালিশি সভা ডেকে নিজের বাড়ির উঠোনে কুপিয়ে খুন করেছিলেন এই বিধায়কের দলবল। খুন হওয়া তিন ভাইয়ের মা জরিনা বিবির করা অভিযোগে নাম ছিল লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ৫২ জনের। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ২০১৫ সালে মনিরুল ইসলাম সহ ২২ জনের নাম বাদ যায় পুলিশি চার্জশিট থেকে। তখন মনিরুল ইসলাম শাসক দল তৃণমূলে।

ছেলেদের খুনের ন্যায় বিচার পেতে জরিনা বিবি এখনও অনড় সিবিআই তদন্তের দাবীতে। পরে নিহতের পরিবার পুনরায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই বছরের ৪ই সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

ইতিমধ্যে লোকসভা ভোটে বিজেপির দাপট বাড়ে বাংলাতে। আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২ থেকে ১৮। মনিরুল ইসলামও ফের দল পরিবর্তন করেন। তৃণমূল ছেড়ে সোজা দিল্লিতে গিয়ে কৈলাশ বিজয় বর্গী ও মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মত ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ৪ই ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সেই চার্জশিটে আবার নাম ফিরে আসে মণিরুল ইসলামের। এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম যোগ হয় বিজেপি নেতা মুকুল রায়েরও।

যদিও মুকুলের রায়ের নাম জড়িয়ে যাওয়া ওই তিনভাইয়ের মা বলেন, “সেদিনের ঘটনার সাথে মুকুল রায়ের কোনো ভূমিকা ছিল কিনা আমার জানা নেই।”