দুবরাজপুরে দুষ্কৃতীদের কবলে ব্যবসায়ী, সর্বস্ব হারিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

লাল্টু : দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে গেল বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত হেতমপুরে। শনিবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, হেতমপুরের মনমোহন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির ব্যবসার জন্য দোকান রয়েছে দুবরাজপুরে। এদিন তিনি দোকান বন্ধ করে সাইকেলে চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হেতমপুর রাজবাড়ী কাছে থাকা মানসায়ের জঙ্গলের কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই ব্যবসায়ীর পথ আটকানো এবং তার থেকে সমস্ত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

ঘটনার সময় ওই ব্যবসায়ীকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাকে চরম মারধর করা হয়। বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এবং আরও শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত করা হয়। এই সময় গ্রামের কোন এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছিলেন। তখন জঙ্গলে মোটরসাইকেলের আলো পড়তেই দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীর সাইকেল এবং টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দেয়। ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।

আহত ব্যবসায়ীর আত্মীয় সুদীপ্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “রাতে ব্যবসা করে বাড়ি ফেরার সময় এমন ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে কোনোক্রমে আমার কাকু বেঁচে ফিরেছেন। ঘটনার সময় গ্রামের ওই মোটর বাইক আরোহী ওই রাস্তা দিয়ে না গেলে হয়তো কাকু বাচঁতেনই না। দুষ্কৃতীরা সাইকেল এবং টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে।”

ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। শুরু হয় তল্লাশি। সঙ্গে সঙ্গেই তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র এবং দুটি সাইকেল। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কেউ পুলিশের হাতে আসেনি, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।