নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর এই তৃণমূল যেন ছন্নছাড়া। একের পর এক দলীয় কর্মী থেকে নেতারা দল ছাড়ছেন, আবার অন্যদিকে তোলাবাজি, কাটমানি নিয়ে দলের অন্দরে তীব্র সংকট আকার ধারণ করেছে। আর এই জোড়া কলা থেকে বাঁচতে তৃণমূল দ্বারস্থ হয়েছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে প্রশান্ত কিশোরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়ে গেল।
সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির সাথে প্রশান্ত কিশোরের দ্বিতীয় বৈঠকে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ চারটি বিষয়। লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের বিধানসভায় এই চারটি কৌশল বাংলায় বিজেপিকে আটকাতে পরামর্শ কিশোরের।
প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের ও কর্মীদের আচরণ সংযত করার পরামর্শ দেন।
দল ভাঙা রুখা যায় এই পরামর্শ দেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূলে ভাঙ্গন অব্যাহত, এমনকি দলনেত্রীর বার্তাতেও তা থামেনি। গত শুক্রবার দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে প্রশান্ত কিশোরের দু’ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস বৈঠকে উঠে আসে এসব প্রসঙ্গও। একই সঙ্গে মনে করা হচ্ছে মমতা ব্যানার্জির কাটমানি প্রসঙ্গের মন্তব্যের পিছনেও রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মাথা।
নজরুল মঞ্চে মমতা ব্যানার্জীর কাটমানি প্রসঙ্গে মন্তব্যের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে শুরু করে নেতা নেত্রীদের বাড়ি ঘেরাও হচ্ছে, হচ্ছে বিক্ষোভ। এই নয়া বিড়ম্বনা থেকে মুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোন কৌশলে লড়াই করবে তৃণমূল সে বিষয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে নিরূপণ করে দেন প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা বলবৎ রাখতে কোন পথে চলবে তৃণমূল তা চূড়ান্ত করতেই এদিনের বৈঠক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।