দরকার হবে না ৮০সি-র, ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স বাঁচানো যায় এই পদ্ধতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়কর (Income Tax) যাতে দিতে না হয় তার জন্য বহু মানুষকেই বিভিন্ন ধরনের পথ অবলম্বন করতে দেখা যায়। যদিও এবার বাজেট অধিবেশনে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। আয়কর ছাড় পাওয়ার ক্ষেত্রে বহু করদাতাকেই দেখা যায় ৮০সি (80C) পূরণ করতে। তবে ৮০সি ছাড়াও বেশ কিছু স্কিম রয়েছে যেগুলিতে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়।

১) সাত লক্ষ টাকার বেশি রোজগার হলে তা ইনকাম ট্যাক্স অর্থাৎ আয়করের আওতায় পড়ে। সেক্ষেত্রে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS) ট্যাক্স বাঁচানোর একটি ভালো মাধ্যম। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীরা ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন 80CCD (1B) এর আওতায়।

২) কর ছাড় পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি বড় মাধ্যম হলো হোম লোন (Home Loan)। যে সকল ব্যক্তিদের হোম লোন রয়েছে তারা কর দেওয়ার ক্ষেত্রে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্ল্যাব থেকে কমাতে পারেন এবং কর ছাড় পেতে পারেন।

৩) আয়করের যে সকল ধারা রয়েছে তার মধ্যে একটি ধারা হলো 80TTA। এটি নাগরিকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা সুদের উপর কর ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে থাকে। এতে সাধারণ নাগরিকরা ১০০০০ টাকা এবং প্রবীণ নাগরিকরা 80TTB ধারায় ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি স্কিম রয়েছে যেগুলিতে বিনিয়োগ করলেও কর ছাড় পাওয়া যায়। এমনকি লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (LIC) তে বিনিয়োগ করা থাকলেও কর প্রদান করার সময় তা নথিভূক্ত করা হলে কর ছাড় পাওয়া যায়। যেমন, সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে। সেক্ষেত্রে যদি কোন ব্যক্তির বার্ষিক আয় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা বা তার বেশি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তিনি এই সকল বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ দেখিয়ে সাত লক্ষ টাকার নিচে তা আনতে পারবেন।