India Foreign Reserve: বিগত কয়েকদিনে বেড়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। অন্যদিকে অবাক করার মতো নিম্নমুখী হয়েছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। জানেন কি ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পার্থক্য ঠিক কতটা? জানলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। কি বলছে রিপোর্ট? বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আইএমএফের হিসাব বলছে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, যখনই বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকা ঢুকবে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে যাবে এই রিজার্ভের পরিমাণ। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ (India Foreign Reserve) অনেক গুণ বেশি। ভারতের অন্য আরেকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে মাত্র ১২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের পকেটে ঢুকেছে ৬৫২.৮৭ বিলিয়ন ডলার (India Foreign Reserve)। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের থেকে প্রায় ৩২ গুণ (আইএমএফের হিসেব ধরলে)। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সর্বকালীন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ভারতের পকেটে সেই সময় ছিল ৭০৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সেই সময় থেকে কমতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:Life Insurance of India: মেয়াদ পেরিয়ে গেলে কিভাবে করবেন LIC-র টাকা দাবি , জেনে নিন বিস্তারিত নিয়ম
ভারতের রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সম্মিলিত বাজেটের প্রায় সমান। বিশ্বের মধ্যে ভারতের স্থান রেমিট্যান্সের নিরিখে একেবারেই শীর্ষে। ২০২৪ সালেও ভারতের স্থান শীর্ষে ছিল। ভারতে চলতি বছরে রেমিট্যান্স বাবদ ১২৯ বিলিয়ন ডলার এসেছে। যা পাকিস্তান (৬৭ বিলিয়ন ডলার) এবং বাংলাদেশের (৬৮ বিলিয়ন ডলার) এই অর্থবর্ষের বাজেটের যোগফলের প্রায় সমান।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এই প্রতিবেদন মারফত জানা গেছে যে, এই বছর ভারতে রেমিট্যান্স বাবদ ১২৯ বিলিয়ন ডলার এসেছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। সেই দেশের প্রবাসীরা মেক্সিকোতে পাঠিয়েছে ৬৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আবার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে চিন। তাদের পকেটে এই বছর ঢোকে ৪৮ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ স্থানে আছে ফিলিপিন্স যারা পেয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। পঞ্চম স্থানে আছে পাকিস্তান, যারা পেয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষে বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৩.৯২ বিলিয়ন ডলার।