৪ আর ৬, ইরফান পাঠানের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে সহজ জয় ভারতীয় কিংবদন্তিদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাস্তায় চলাফেরা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মোট পাঁচটি দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাদের নিয়ে একটি রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের আয়োজন করা হয়েছে। যে সিরিজে খেলছেন ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার প্রাক্তণ ক্রিকেটারা। মোট দশটি খেলা হবে এই সিরিজে। প্রতিটি খেলায় টি-২০। আর এই বিশেষ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে গত মঙ্গলবার ওয়াংখেড়েতে মুখোমুখি হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কার প্রাক্তণ ক্রিকেট কিংবদন্তীরা।

টসে জিতে ভারতীয় কিংবদন্তীরা শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তিদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে একেবারে পুরাতন ফর্মে দেখা যায় শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তিদের। তারা ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে ভারতীয় কিংবদন্তিদের সামনে ১৩৯ রান লক্ষ্যমাত্রা রাখেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তিলকরত্নে দিলশান ও চামারা কাপুগেদেরা। দুজনেই ২৩ বলে ২৩ রান করেন। আর ভারতীয় বোলার হিসেবে ৪ উইকেট তুলে নেন মুনাফ প্যাটেল। জাহির খান, ইরফান পাঠান, গনি ও বাঙ্গার একটি করে উইকেট পান।

ভারতীয় কিংবদন্তীরা ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই শচীন তেন্ডুলকরের উইকেট খোয়ায় মাত্র ১ রানের মাথায়। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শচীন তেন্ডুলকর। আর তারপরেই দলের ১৩ রানের মাথায় মাত্র ৩ রানে বীরেন্দ্র শেবাগ প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। পরপর দুই উইকেট খুইয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় ভারতীয় কিংবদন্তীরা। আর সেই চাপকে আরও বাড়িয়ে দেয় যুবরাজ সিংয়ের উইকেট। ১৯ রানের মাথায় ভারতীয় কিংবদন্তিদের তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। ৪.২ ওভারে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান যুবরাজ সিং। এরপর ম্যাচ কিছুটা নিজেদের আয়ত্বে আনেন মহঃ কাইফ ও সঞ্জয় বাঙ্গার। তবে সঞ্জয় বাঙ্গারের উইকেট যায় দলীয় ৬২ রানের মাথায় ১০.৫ ওভারে।

এমত অবস্থায় অনেকেই ভেবেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তিদের হাত থেকে আজ ছিনিয়ে নিতে চলেছে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তীরা। কিন্তু এরপরেই মাঠে আসেন ইরফান পাঠান। ইরফান পাঠান মাঠে আসার পর ব্যক্তিগত ৪৬ রান ও দলীয় ৮১ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরত চান মহঃ কাইফ। তবে এরই মাঝে ইরফান পাঠান তার দুর্ধর্ষ ব্যাটিং দেখাতে শুরু করেন। ৬টি ৪ আর ৩টি ৬-এর বিনিময় মাত্র ৩১ বলে ১৮৩.৮৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যক্তিগত ৫৭ রান তুলে মাত্র ১৮.৪ ওভারে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। এই ম্যাচে তিনি অপরাজিত থেকে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ সম্মান ছিনিয়ে নেন। ভারতীয় কিংবদন্তীরা ৫ উইকেট ও ৮ বল হাতে থাকতেই দিনের ম্যাচে জয়লাভ করে।