মাত্র ৪০ টাকায় স্টেশনে ঝাঁ চকচকে থাকার ঘর, রেলের এই পরিষেবা না জানলে মিস

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দূরে হোক অথবা কাছে যাতায়াতের জন্য সবাই প্রথম মাধ্যম হিসেবে রেলকেই বেছে নেন। খরচ কম এবং স্বাচ্ছন্দে যাতায়াতের জন্যই রেলের ব্যাপক চাহিদা। চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়।

তবে ট্রেনের উপর নির্ভর করে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে বহু সময় দেখা যায় নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক লেটে চলে ট্রেন। বিশেষ করে শীতের সময় ট্রেন লেটে চলার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। দূর দূরান্ত থেকে আসা-যাত্রীরা ট্রেন লেট দেখে হোটেল মোটেল অথবা অন্য কোন জায়গায় মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকার বন্দোবস্ত করেন। কারণ অনেকেই জানেন না সামান্য টাকা দিয়েই রেল ঝাঁ চকচকে ঘরে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে।

রেলের এই অভিনব পরিষেবার মাধ্যমে যাত্রীরা লাভ আর লাভই উঠাতে পারেন। এই পরিষেবা বহন করলে যাত্রীদের হাজার হাজার টাকা সাশ্রয় হয়। আবার ট্রেন লেটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিশ্চিন্তে স্টেশন চত্বরেই ঘুমানো যায়। কারণ এই পরিষেবার মাধ্যমে রেলের তরফ থেকে মাত্র ২০ থেকে ৪০ টাকায় বিলাসবহুল রুম দেওয়া হয়ে থাকে।

রেলের এই পরিষেবা নেওয়ার জন্য যাত্রীদের কাছে পিএনআর নম্বর থাকতে হবে। আপাতকালীন পরিস্থিতিতে রেলের অবসর গ্রহণ কক্ষের বা রিটায়ারিং রুমের সুবিধা নিতে পারেন রেলের যেকোনো যাত্রী। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই সকল রুমে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারবেন যাত্রীরা। আর এর জন্য চার্জে দিতে হবে মাত্র ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা।

তবে এই ধরনের রুম প্রতিটি স্টেশনে থাকে না। কেবলমাত্র বড় বড় রেল স্টেশনগুলিতে রয়েছে। পিএনআর নম্বর দিয়ে রিটায়ারিং রুম বুকিং করা যায়। এই ধরনের রুম এসি এবং নন এসি দুই রকমই হয়ে থাকে। https://www.rr.irctctourism.com/#/home ওয়েবসাইটে গিয়ে বুকিং করা যায় এই ধরনের রুম। তবে এই রুম সেই সকল যাত্রীরাই বুকিং করতে পারেন যাদের টিকিট কনফার্ম।

এর পাশাপাশি যাত্রা করার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০০ কিলোমিটার যাত্রা করতে হবে। অনলাইনে এই ধরনের রুম বুকিং করার সময় নথি হিসাবে আধার নম্বর বা প্যান নম্বর দিতে হয়। অনলাইন ছাড়াও অফলাইনেও এই ধরনের রুম বুকিং করার সুযোগ পেয়ে থাকেন যাত্রীরা।