বাস, ট্রাকের দাম সবাই জানে, কিন্তু ট্রেনের! সিওর আপনিও জানেন না

নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ভূমিকা এতটাই যে রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়। আসলে প্রতিদিন হাফ কোটির বেশি মানুষ কেবলমাত্র ট্রেনের (Train) উপর নির্ভর করেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করেন। এই পরিসংখ্যান কেবলমাত্র ভারতবর্ষের। বিশ্বের দিকে তাকালে সংখ্যাটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

প্রতিদিন ভারতের মতো দেশের ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের ওপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করলেও ট্রেন সম্পর্কে বহু কিছুই তাদের অজানা। এই ধরুন না, যদি কোন একজনকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনার চোখের সামনে যে বাসটি যাচ্ছে তার দাম কত? ওই ব্যক্তি অনুমান করে একেবারে সঠিক বলতে না পারলেও ধারে কাছে বাসের দাম বলে দিতে পারবেন। একইভাবে ট্রাক অথবা অন্য কোন যানবাহনের দাম বলে দেওয়াটাও কঠিন কিছু হয় না। কিন্তু ট্রেনের দাম!

এখন আপনাকেও যদি বলা হয় যে আপনার সামনে যে ট্রেনটি ছুটে চলেছে তার দাম কত? ট্রেনের দাম যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই তাকে কিছুক্ষণের জন্য থমকে যেতে হবে। তবে থমকে গিয়েও তিনি সঠিক দাম বলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ অধিকাংশ মানুষেরই একটি ট্রেনের দাম কত হতে পারে তা জানা নেই।

বর্তমানে ভারতীয় রেলের তরফে দুই ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের কোচ ব্যবহার করা হয়। এক ধরনের কোচ হলো আইসিএফ (ICF) কোচ এবং অন্য এক ধরনের কোচ হল এলএইচবি (LHB)। আইসিএফ কোচগুলির জন্য খরচ পড়ে ৮০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে এলএইচবি কোচের জন্য খরচ পরে ৭২ লক্ষ টাকা। এসি কোচের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। এসি কোচের ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। এক্ষেত্রে একটি ট্রেনে কতগুলি কোন ধরনের কোচ থাকে তার ওপর ট্রেনটির দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে।

আবার ট্রেনে যে সকল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় সেই সকল ইঞ্জিনের দু’ধরনের ভাগ রয়েছে। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন এবং ডিজেল চালিত ইঞ্জিন। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন WAP-7, যার দাম ১২.৩৮ কোটি টাকা এবং ডিজেল চালিত ইঞ্জিন WAP-4D, যার দাম ১৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এক একটি ট্রেন তৈরি করতে ১১৫ কোটি টাকা খরচ হয় বলে জানা গিয়েছে পিটিআই সূত্রে। আগামী দিনে ভারতে যে বুলেট ট্রেন চলবে, সেই সকল এক একটি বুলেট ট্রেনের জন্য খরচ হবে ৬০,০০০ কোটি টাকা।