Post Office RD Scheme: এবার পোস্ট অফিসেও করা যাবে SIP, তাও আবার মাত্র ১০০ টাকায়

Get near about 9 lakh rupees by investing only 100 rupees: এবার পোস্ট অফিসেও রয়েছে SIP-র সুযোগ। যেখানে প্রতিমাসে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের টাকা। ১০০ টাকা দিয়ে খোলা যাবে এই অ্যাকাউন্ট। পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিম (Post Office RD Scheme) অনেকেই শুনেছেন। তবে স্কিমে কিভাবে বিনিয়োগ করে লাভবান হবেন, চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আজ নেওয়া যাক।

প্রথমে জেনে নেয়া যাক যে SIP বিষয়টি কি? পোস্ট অফিসের ক্ষেত্রে এসআইপির অর্থ হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। যেখানে প্রতিমাস পিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হয়। যার মেয়াদ শেষে পরিমাণ হয় বেশ ভালই। সেরকমই পোস্ট অফিসের একটি স্কিম হলো রেকারিং ডিপোজিট স্কিম (Post Office RD Scheme)।

জানা গিয়েছে, মাত্র ১০০ টাকায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যাবে এই স্কিমের। তবে এই স্কিমে বিনিয়োগের কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। মেয়াদের ক্ষেত্রেও কোনো ব্যক্তি চাইলে ৫ বছর থেকে ১০ বছর করে নিতে পারেন। তবে এসআইপির মতো এই অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই স্কিমের সুদের চক্রবৃদ্ধি করা হয়।

তবে মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপিতে যেরকম ঝুঁকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের এই স্কিম ঝুঁকিহীন। গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে এই স্কিমে। কি সুবিধা? কোনো গ্রাহক মাসের যে তারিখে অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই তারিখের মধ্যেই ওই স্কিমের অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি মাসের ১৫ তারিখের আগে এই অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে ওই ১৫ তারিখের আগে ওই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। আবার কেউ যদি ১৫ তারিখের পরে অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন তাহলে সেক্ষেত্রে ১৬ তারিখ থেকে মাসের শেষের দিকে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।

এছাড়াও, গ্রাহকদের জন্য এই স্কিমে রয়েছে আরো এক সুবিধা তা হলো ঋণের সুবিধা। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি এই স্কিম থেকে ঋণ নিতে চান তাহলে ১২টি কিস্তি জমা দেওয়ার পর ওই অর্থ থেকে ৫০ শতাংশ ঋণ পাওয়া যাবে। তবে ঋণের সুদের হার আর পোস্ট অফিস রেকারিং (Post Office RD Scheme)-এর সুদের তুলনায় ২% বেশি। এর পাশাপাশি এই স্কিমে নমিনির সুবিধাও রয়েছে।

এবার জেনে নেওয়া যাক এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে কত টাকা লাভ করা যায়? পোস্ট অফিসের RD স্কিমে (Post Office RD Scheme) নির্দিষ্ট মেয়াদ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করলে ভালো অঙ্কের টাকা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোনো ব্যক্তি যদি ৫ বছরের মেয়াদ থেকে ১০ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে জমা দিলে মেয়াদ শেষে টাকার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ লক্ষ টাকা। সুদ সমেত এর অর্থ দাঁড়ায় ৮,৩১,১৭২ টাকা। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি এই স্কিম থেকে লাভ করতে পারবে ২,৩১,১৭২ টাকা।