আয়কর হানায় জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার কোটি টাকা, শুকাতে লাগলো হেয়ার ড্রায়ার

নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়কর ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা বাড়িতে মজুদ রাখার ঘটনা ভারতে নতুন নয়। সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই উত্তর প্রদেশের এক সুগন্ধি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এমন হাজার কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার হয়েছে। ঠিক একই রকম আরও একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো দেশ।

এবারও এমন ঘটনা ঘটেছে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। যিনি আয়কর ফাঁকি দিয়ে একটি সুটকেসের মধ্যে কোটি টাকার নোট ভর্তি করে তা লুকিয়ে রেখেছিলেন জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে। জলের ট্যাঙ্কের মধ্য থেকে সেই সকল টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হন আয়কর আধিকারিকরা। তবে সেই সকল সমস্ত নোট জলে ভিজে যাওয়ায় সেগুলি শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন আয়কর আধিকারিকরা। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জানা গিয়েছে এবারের এই টাকা উদ্ধার হয়েছে মধ্যপ্রদেশের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে। ওই ব্যবসায়ী হলেন কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ শংকর রায়। তিনি ব্যবসায়ী ছাড়াও আগে ওই রাজ্যের দামোনগরের পালিকা চেয়ারম্যান ছিলেন। অন্যদিকে তার ভাই ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি আবার বিজেপির ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবেই পরিচিত। আয়কর বিভাগ শংকর রায়ের হিসাব বহির্ভূত রোজগারের বিষয়ে খবর পান এবং হানা দেন।

এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর আধিকারিকরা ৩৯ ঘন্টা হানা দিয়ে ৮ কোটি নগদ ও ৫ কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই রায় পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী পরিবার হিসেবে পরিচিত হওয়ায় হিসাব বহির্ভূত রোজগার সম্পর্কে অনেকের মধ্যেই সন্দেহ ছিল।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শংকর রায় তার বিভিন্ন কর্মীর নামে হাজার তিনেক বাস চালাতেন। কর্মীদের নামে এই বিপুলসংখ্যক বাস চালানোর কারণ হলো কর ফাঁকি দেওয়া। বৃহস্পতিবার আয়কর আধিকারিকরা শংকর রায়ের কমপক্ষে ১০টি বাসস্থানে হানা দেন। সেখানেই এই বিপুলসংখ্যক সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়। এই সকল টাকার মধ্যে বিপুল সংখ্যক টাকা রাখা ছিল জল ট্যাঙ্কের ভিতর।